নয়াদিল্লি: সংবিধানের ৩৭০ ধারা নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। তার মধ্যেই লোকচক্ষুর আড়ালে কাশ্মীরকে বিশেষ অধিকার দেওয়া সংবিধানের একটি ধারা তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করে চলেছে বিজেপি। এর ফলে কাশ্মীরের কারা স্থায়ী নাগরিক তা নির্ধারণ করার যে অধিকার রাজ্যের হাতে রয়েছে, তা খারিজ করা যাবে।


এই ধারাটি হল ৩৫এ। এর ফলে রাজ্য ঠিক করে, কারা সেখানকার স্থায়ী নাগরিক, বাড়তি সুবিধে পান তাঁরা। ভিন্ন রাজ্যের নাগরিকদের এ রাজ্যে জমি কিনে বসবাসের অধিকার নেই।  কিন্তু বিজেপি বরাবর অভিযোগ করে আসছে, এই ধারা কাশ্মীর ও অবশিষ্ট ভারতের মধ্যে বিভেদ তৈরি করেছে, তৈরি করেছে ভিন্ন পরিচয়। তাই দেশের স্বার্থে তা তুলে দিতে হবে।

কাশ্মীরের জনৈক মহিলা চারু ওয়ালি খান আদালতে পিটিশন দায়ের করে বলেছেন, কাশ্মীরের ওপর প্রযুক্ত ৩৫এ ধারায় বদল আনতে হবে। যেহেতু তিনি এখন রাজ্যের বাইরে বসবাস করেন, তাই এই ধারা অনুযায়ী পৈত্রিক সম্পত্তিতে তাঁর অধিকার নেই। এই নিয়মে পরিবর্তন আনার আবেদন করেছেন তিনি। তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্র ও রাজ্যকে গত মাসে নোটিশ পাঠিয়েছে এ ব্যাপারে। অ্যাডভোকেট জেনারেল কে বেণুগোপাল সুপ্রিম কোর্টে বলেছেন, ৩৫ এ ধারার বিরুদ্ধে ওই মহিলার পিটিশন রীতিমত সংবেদনশীল প্রশ্ন তুলেছে, এ ব্যাপারে বিতর্ক হোক। সম্ভবত সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এ ব্যাপারে রায় দেবে আদালত।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে কেন্দ্র এখনও এই মামলায় কাউন্টার এফিডেভিট ফাইল করেনি।

তারা এ নিয়ে মুখ না খুললেও রাজ্য বিজেপি নেতারা অবশ্য এই ইস্যুতে বরাবরই মুখর। তাঁদের মতে, এই ধারা সাংবিধানিক ভুল, সংসদীয়ভাবে নয়, রাষ্ট্রপতির নির্দেশে তা বলবৎ হয়। কিন্তু উপত্যকার রাজনীতিকরা এই ধারা পরিবর্তনের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি তো এ কথাও বলেছেন, ৩৫এ ধারা তুলে দিলে কাশ্মীরে তেরঙা ধরার কেউ থাকবে না।