নয়াদিল্লি: রবিশঙ্কর প্রসাদের অভিযোগ খারিজ করে পাল্টা তোপ কংগ্রেসের। ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য বেআইনি ভাবে হাতিয়ে বিভিন্ন দেশের নির্বাচনী ফলাফলে কলকাঠি নাড়ানোয় অভিযুক্ত সংস্থা কেম্বরিজ অ্যানালিটিকার সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্কের অভিযোগ তুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা। কংগ্রেস ওই তথ্য বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠানকে রাহুল গাঁধীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে, ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনেও ফায়দা তুলতে কাজে লাগাতে চায় বলে দাবি করেন রবিশঙ্কর।
পাল্টা কংগ্রেসের কমিউনিকেশনস ইনচার্জ রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, কংগ্রেস বা তার সভাপতি রাহুল গাঁধী, কেউই কখনও লন্ডনের ওই সংস্থাকে নিয়োগ করেনি, তাদের পরিষেবা নেয়নি। বরং বিজেপিই গুজরাত, বিহার ভোটে ওই কোম্পানিকে কাজে লাগিয়েছিল।
রবিশঙ্করের আজকের অভিযোগ দেশের নজর অন্য ইস্যুগুলি থেকে ঘুরিয়ে দেওয়ার আরও এক 'সুক্ষ্ম কৌশল' বলে মন্তব্য করেন সুরজেওয়ালা। বলেন, বিজেপির ভুয়ো খবর তৈরির কারখানা থেকে আজ আরও একটি মিথ্যা বেরল। মনে হচ্ছে, ভুয়ো সাংবাদিক সম্মেলন, ভুয়ো অ্যাজেন্ডা, জাল বিবৃতি, কৌশল, এগুলিই বিজেপি ও তাদের 'বেলাগাম' আইনমন্ত্রীর নিত্যদিনের চরিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ওই কোম্পানির ওয়েবসাইটে রয়েছে যে, ওরা রিসার্চ, কমিউনিকেশন সংক্রান্ত প্রচার চালিয়েছিল, ২০১০ সালের বিহার বিধানসভার নির্বাচনে একেবারে পুঙ্খানুপুঙ্খ নির্বাচনী বিশ্লেষণের জন্য ওদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কেম্বরিজ অ্যানালিটিকা ও বিহারের এক শীর্ষ এনডিএ নেতার ছেলের পরিচালনাধীন সংস্থা ওবিআই পরস্পরের ব্যবসা দেখভাল করে বলে দাবি করে সুরজেওয়ালা বলেন, ওদের কীর্তির মধ্যে রয়েছে, চারটি নির্বাচনে শাসক বিজেপির প্রচার অভিযান চালিয়ে সাফল্য পাওয়া।
সুরজেওয়ালার দাবি, কেম্বরিজের এ দেশের শরিক ওবিআই সাধারণ নির্বাচন ও হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খন্ড ও দিল্লি বিধানসভা ভোটে বিজেপির হয়ে খেটেছিল, বিজেপি প্রার্থীদের কেন্দ্রওয়াড়ি ভোটার তথ্য দিয়েছিল, ২৭২ প্লাস টার্গেট অর্জিত হয়েছে বলে ঘোষণা করেছিল।
সুরজেওয়ালা বলেন, আমি এটা বলছি না, কেম্বরিজ অ্যানালিটিকা নিজেরাই বলছে।
এদিন প্রথমে সাংবাদিক বৈঠকে রবিশঙ্কর প্রসাদ দাবি করেন, রাহুল গাঁধী বলুন, সোস্যাল মিডিয়ায় তাঁর প্রচার, সক্রিয়তার পিছনে ওই কোম্পানির ভূমিকা কী।
কেম্বরিজ অ্যানালিটিকা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় প্রভাব খাটাতে 'সেক্স, ভুয়ো খবর' কাজে লাগানোয় অভিযুক্ত বলে দাবি করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, জল, জমি, স্পেকট্রাম, প্রাকৃতিক সম্পদ চুরির পর কংগ্রেস কেম্বরিজ অ্যানালিটিকার সঙ্গী হয়ে এবার অনলাইন তথ্য হাতানোর কাজে নেমেছে।