গতকাল সম্প্রচারিত বিভিন্ন এক্সিট পোলে কেন্দ্রে বিজেপি ভাল ফল করে ক্ষমতায় ফিরছে বলে ইঙ্গিত করা হয়েছে, মধ্যপ্রদেশে বিজেপি সবচেয়ে বেশি আসন পেতে চলেছে বলেও পূর্বাভাস রয়েছে। পরদিনই কমলনাথ সরকারের বিরুদ্ধে তত্পরতা বাড়াচ্ছে তারা।
তিনি বলেছেন, নিজে থেকেই পতন হবে মধ্যপ্রদেশ সরকারের। ঘোড়া কেনাবেচায় বিশ্বাসী নই। তবে ওদের চলে যাওয়ার সময় হয়েছে বলে মনে করি।
গত ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি-এনডিএর চমত্কার সাফল্যের পর কংগ্রেস সবচেয়ে ভোটের ময়দানে সবচেয়ে ভাল ফল করে দেখায় ২০১৮-র ডিসেম্বর। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করে রাহুল গাঁধীর দল। ছত্তিশগড়ে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় তারা, রাজস্থানে সংখ্যাগরিষ্ঠতার লক্ষ্যমাত্রা পেরয়, মধ্যপ্রদেশে সরকার গড়ার প্রয়োজনীয় সংখ্যার কম আসন পায় তারা। ২৩০ সদস্যের বিধানসভায় কংগ্রেসের ১১৪ জন সদস্য। চার নির্দল, ২ জন বহুজন সমাজ পার্টি (বসপা), এক সমাজবাদী পার্টি(সপা) এমএলএ কমলনাথের সরকারকে সমর্থন ঘোষণা করে। বিজেপি পায় ১০৯টি আসন।
সম্প্রতি বসপা নেত্রী মায়াবতী মধ্যপ্রদেশের গুণা লোকসভা কেন্দ্রে নিজের দলের প্রার্থী কংগ্রেস যোগ দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পর কমলনাথ সরকারের প্রতি সমর্থন তুলে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, সময় আসবে। কংগ্রেসকে এজন্য চরম মূল্য দিতে হবে। এমন ব্যাপারে আগেও হয়েছে। আমরা অটলবিহারী বাজপেয়ির সরকার ফেলে দিয়েছিলাম।
মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবিতে আনন্দীবেন পটেলকে চিঠি লিখছেন বিরোধী দলনেতা ভার্গব। তিনি বলেছেন, শীঘ্রই বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন চেয়ে চিঠি দিচ্ছি যাতে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলিতে আলোচনা হতে পারে, কংগ্রেস সরকারের শক্তিপরীক্ষা যাচাই করা যায়। আমরা কৃষিঋণ মকুবের ইস্যুতেও আলোচনা চাই। কংগ্রেস বিধানসভায় আসল ইস্যুতে বিতর্কের বদলে মধ্যপ্রদেশে ২১ লক্ষ কৃষকের ঋণ মকুব করার দাবি করে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের বাসভবনে কাগজপত্র ছুঁড়ে মেরেছে। গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা, বিতর্ক এড়িয়ে যাচ্ছে কংগ্রেস।