সম্প্রতি প্রয়াত বৌদ্ধ সন্ন্যাসী ভদন্ত প্রজ্ঞানন্দের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পর সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, আমরা দলীয় প্রতীকেই পুরভোটে লড়েছি। আমার কাছে এটা আনন্দের ব্যাপার যে, দলিতদের পাশাপাশি শহরের পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের লোকজন, উচ্চবর্ণ, সংখ্যালঘুদের অনেকে, বিশেষ করে মুসলিমরা আমাদের ভোট দিয়েছেন। এবারের পুরভোটে সরকারি প্রশাসনযন্ত্রের 'অপব্যবহার' করা হয়েছে, নয়তো রাজ্যে আমাদের আরও অনেক প্রার্থী মেয়র হতেন, আরও আসনও জিততাম আমরা। অন্য বিরোধী দলগুলির সঙ্গে জোট গঠনের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে মায়াবতী বলেন, সর্বসমাজ অর্থাত্ উপজাতি, দলিত, নীচু জাত, সংখ্যালঘু, উচ্চবর্ণের জোট চাই। এদেরকে জুড়তে হবে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে। এর থেকে বড় কোন জোট হয় কি?
বিজেপির নির্বাচনী সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অখিলেশ সিংহ যাদবও। ইভিএমের কারসাজি রয়েছে বিজেপির জয়ের পিছনে, ইঙ্গিত সমাজবাদী পার্টি (এসপি) সভাপতির। ইভিএমে ভোট হওয়া আসনগুলিতেই বিজেপি ভাল ফল করেছে বলে দাবি করে অখিলেশের ট্যুইট, ব্যালটপত্রে ভোট হওয়া আসনগুলির মাত্র ১৫ শতাংশে জিতেছে বিজেপি, কিন্তু ৪৬ শতাংশ আসন পেয়েছে যেগুলিতে ইভিএমে ভোট হয়েছে। দাবির সমর্থনে অবশ্য কোনও পরিসংখ্যান দেননি তিনি। তবে ইভিএমে গন্ডগোল করিয়ে কারচুপি সম্ভব, বিরোধী শিবিরের এই দাবি, অভিযোগ ঘিরে চলতে থাকা বিতর্কে নতুন মাত্রা এনে দিতে পারে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য।
]
এবারের উত্তরপ্রদেশের পুরভোটে ৩০ হাজারের বেশি ইভিএমের মধ্যে ৫০০টি বদলাতে হয়েছে। মেয়র পদে ভোটগ্রহণ হয়েছে ইভিএমে, বাকিগুলিতে ভোট নেওয়া হয় ব্যালটে। বিজেপি ১৩০০ পুর ওয়ার্ডের মধ্যে ৫৯৬টি দখল করেছে।
১৯৮টি নগর পালিকা পরিষদ চেয়ারম্যান পদের ৭০টি, ৪৩৮টি নগর পঞ্চায়েত চেয়ারম্যান পদের ১০০টি বিরোধীদের হারিয়ে দখল করেছে বিজেপি। সমাজবাদী পার্টি ২০২টি কর্পোরেশন ওয়ার্ড, ৪৫টি নগর পালিকা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ, ৮৩টি নগর পঞ্চায়েত চেয়ারম্যান পদ পেয়েছে।