ইটানগর: অরুণাচল প্রদেশকে কোনওদিনই ভারতের অঙ্গরাজ্য বলে মানে না চিন। অরুণাচল দক্ষিণ তিব্বতের অংশ, তাদের ভূখন্ড বলে দাবি করে তারা, এমনকী ভারতের নেতা, মন্ত্রীরা সেখানে সফরে গেলেই বিবৃতি দিয়ে তার বিরোধিতা করে। কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে, ভারতের উত্তরপূর্বের আপার সুবনসিরি জেলায় চিন নিজেদের নাগরিকদের এনে বসিয়ে রীতিমতো গ্রাম বানিয়ে ফেলেছে! পূর্ব লাদাখে গালওয়ানে চিন-ভারত সামরিক সংঘাতের প্রেক্ষাপটে এমন খবরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এদেশে।


এবার রাজ্য বিজেপির নেতা-কর্মীরা রাস্তায় নামলেন। ভারতের মাটিতে চিনা গ্রাম তৈরির প্রতিবাদে তারা প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখিয়ে সেদেশের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কুশপুতুলও  পোড়ায়।  অরুণাচল বিজেপির মুখপাত্র তেচি নেচা বলেছেন, আমরা চিনের এমন আচরণের তীব্র নিন্দা করি, বেজিংকে স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, আমরা ভারতীয়, তা-ই থাকব। চিন বারংবার অরুণাচলকে নিজের এলাকা বলে দাবি করে এধরনের অনুপ্রবেশ করে থাকে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

সাংবাদিকদের নেচা বলেন,  যে এলাকায় (যেখানে বারবার গ্রাম তৈরি হচ্ছে বলে খবর) এমন চলছে, সেটি ১৯৫৯ সালেও চিন দখল করে নিয়েছিল, তখন কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল, তারা তাকে রক্ষা বা রাজ্যের সীমান্ত এলাকার উন্নয়নও করতে পারেনি।

শাসক বিজেপি সরকার ম্যাকমোহন লাইন বরাবর ২০০০ কিমি দীর্ঘ অরুণাচল ফ্রন্টিয়ার হাইওয়ে তৈরি করছে বলে জানান নেচা। বলেন, আপার সিয়াংয়ের গেলিং, কাহো এবং আনজও জেলার চাগলাগামের মতো সীমান্ত এলাকায় রাস্তা, সেতু নির্মাণ ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালে রাস্তা তৈরির কোনও উদ্য়োগই নেয়নি।

কিন্তু সংসদে বিজেপি সাংসদ টাপির গাও বারবার সাবধান হওয়ার কথা বললেও কেন্দ্রের তরফে কি এ ব্যাপারে কোনও গাফিলতি বা গোয়েন্দা সংস্থাগুলির ব্যর্থতা ছিল কিনা, প্রশ্ন করা হলে  নেচা তেমন সম্ভাবনা খারিজ করে দেন, বলেন, কূটনৈতিক কারণে হয়তো কেন্দ্রের সরকার প্রতিক্রিয়া দিতে সময় নিচ্ছে।