যোধপুর: ২০ বছরের পুরনো কৃষ্ণসার হরিণ শিকার মামলায় সলমন খানের ৫ বছরের জেল হল, সঙ্গে ১০,০০০ টাকা জরিমানা। ৫ বছরের জেল হওয়ায় জামিনের জন্য সেশনস কোর্টে যেতে হবে তাঁকে। ৩ বছরের কম সাজা হলে যোধপুর আদালতই আজ তাঁকে জামিন দিতে পারত। তাঁকে পুলিশের গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যোধপুর সেন্ট্রাল জেলে।

তবে অন্য ৪ অভিযুক্ত সেফ আলি খান, তব্বু, নীলম ও সোনালি বেন্দ্রেকে বেকসুর খালাস দিয়েছে যোধপুর আদালত। বিশনয়রা বাকি অভিযুক্তদের খালাস পাওয়ার রায়কে চ্যালেঞ্জ করবে বলে জানিয়েছে।

একটি সূত্রের খবর, এরই মধ্যে দোষী সাব্যস্ত করে দেওয়া রায় ও সাজার নির্দেশের বিরুদ্ধে দায়রা আদালতে জামিনের আবেদন পেশ করা হয়েছে সলমনের তরফে। আগামীকাল বেলা সাড়ে দশটায় তাঁর শুনানি। ফলে আজকের রাতটা তাঁকে কাটাতে হবে জেলেই।

এদিকে সলমনকে যখন মেডিকেল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, বাইরে তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দেখা যায় বিশনয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের।






কৃষ্ণসার শিকারের মুখ্য অভিযুক্ত সলমনের সঙ্গে ছিলেন তাঁর দুই বোন আলভিরা ও অর্পিতা। তাঁর বিরুদ্ধে বন্য পশু সংরক্ষণ আইনের ৫১ নম্বর ধারায় মামলা চলছিল।

এই কৃষ্ণসার হরিণের রক্ষণাবেক্ষণ যাঁরা করেন রাজস্থানের সেই বিশনই উপজাতির সদস্যরা জানান, তাঁদের স্থির বিশ্বাস, এবার তাঁরা ন্যায় বিচার পাবেন।

১৯৯৮ সালে সলমন, সেফ, তব্বু, নীলম ও সোনালি হাম সাথ সাথ হ্যায় ছবির শ্যুটিংয়ে যোধপুর গিয়েছিলেন। অভিযোগ, শ্যুটিং চলাকালীন ১ ও ২ অক্টোবরের রাতে আলাদা আলাদা দুটি জায়গায় সলমন কৃষ্ণসার শিকার করেন। কাঙ্কাণি গ্রামে তাঁর বিরুদ্ধে যে দুটি কৃষ্ণসার শিকারের অভিযোগ রয়েছে, তারই আজ রায় দিল আদালত।