এদিন কংগ্রেস নেতা বীরাপ্পা মইলির নেতৃত্বাধীন সংসদের ফিন্যান্স কমিটিকে দীর্ঘ সাতপাতার একটি চিঠিতে আরবিআই জানায়, গত ৭ নভেম্বর মোদী সরকার তাদের পরামর্শ দেয় যে— জালনোট, কালো টাকা ও নাশকতায় টাকা ব্যবহারের মত তিনটি সমস্যার সমাধান ঘটাতে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করার ভাবনাচিন্তা করা যেতে পারে।
ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, পরের দিনই আরবিআই-এর কেন্দ্রীয় বোর্ড বৈঠকে বসে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করা হবে। এই মর্মে বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত কেন্দ্রকে সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়।
জানা যায়, শীর্ষ ব্যাঙ্কের সুপারিশ মিলতেই, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিকেলে জরুরি বৈঠকে বসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। তা শেষ হতেই, নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন শীর্ষ ব্যাঙ্ক আরও জানিয়েছে, জালনোট দমন করতে বেশ কয়েক বছর ধরে তারা আরও উন্নত সুরক্ষা বৈশিষ্ট সমেত নতুন নোট চালু করার ভাবনাচিন্তা চালাচ্ছিল। একইভাবে, কালো টাকা ও নাশকতার মোকাবিলা করার চেষ্টা চালাচ্ছিল কেন্দ্র।
সংসদীয় কমিটিকে আরবিআই জানিয়েছে, গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, বেশি মূল্যের নোটের ফলে কালো টাকার কারবারিদের বাড়তি সুবিধে হচ্ছিল। পাশাপাশি, নাশকতায় ব্যবহার করা হচ্ছিল জালনোট। ব্যাঙ্ক এ-ও জানায়, রিপোর্ট অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে ৫০০ ও ১০০০ টাকার জালনোট বাডারে ভরে গিয়েছিল।
সব মিলিয়ে কেন্দ্র এবং আরবিআই-এর মনে হয়েছিল, নোট বাতিলের মাধ্যমে এই তিন সমস্যার সমাধান সম্ভব।