শ্রীনগর: রাইজিং কাশ্মীরের সম্পাদক সুজাত বুখারি ও তাঁর দুই দেহরক্ষীর পর সেনা জওয়ান। কাশ্মীরের পুলওয়ামা থেকে অপহৃত জওয়ান ঔরঙ্গজেবকে গুলি করে খুন করল জঙ্গিরা। পুলওয়ামার গুসু এলাকা থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। পরিবারের সঙ্গে ইদের ছুটি কাটাতে রাজৌরির বাড়িতে ফিরছিলেন এই জওয়ান, তখন জঙ্গিরা অপহরণ করে তাঁকে।


ঔরঙ্গজেব ৪৪ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসে কর্মরত ছিলেন। জঙ্গি সমীর টাইগারকে খতম করা সেনাদলের সদস্য ছিলেন তিনি। ৩০ এপ্রিল সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে হিজবুল মুজাহিদিন পান্ডা সমীর ও তার সাগরেদ আকিবের মৃত্যু হয়।

রমজানের কারণে জম্মু কাশ্মীরে জঙ্গি বিরোধী অভিযান স্থগিত রেখেছে কেন্দ্র। ফলে এই সময় জঙ্গি কার্যকলাপ চোখে পড়ার মত বেড়ে গিয়েছে। জবাব দিচ্ছে সেনাও। গতকালই বান্দিপোরা জেলায় সংঘর্ষে ২ জঙ্গিকে খতম করেছে তারা। শহিদ হয়েছেন ১ জওয়ানও।

কাশ্মীরে একের পর এক জঙ্গি হামলার জেরে রাজ্যের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের বাসভবনে কাল এক বৈঠক হয়। রাজনাথ ছাড়াও যোগ দেন সেনা প্রধান, ইনটেলিজেন্স ব্যুরো প্রধান, স্বরাষ্ট্র সচিব, আধাসেনা প্রধান ও জম্মু কাশ্মীরের পুলিশ কর্তারা। জানা গিয়েছে, ইদ মিটে গেলে অর্থাৎ ১৬ তারিখের পর জঙ্গি বিরোধী অভিযান ফের শুরু হতে পারে।

রমজান চলাকালীন ২৯ দিনে কাশ্মীরে ৫৯টি ছোট বড় জঙ্গি হামলা ঘটেছে। রমজানের আগে ২৯ দিনে এই সংখ্যা ছিল ১৯টি। জঙ্গি বিরোধী অভিযান বন্ধ রাখার গোষণার পর গ্রেনেড হামলাও বেড়ে গিয়েছে ৪ গুণ।