অমৃতসর ও চণ্ডীগড়: পাকিস্তান থেকে হতে পারে হামলা।


সরকারি নির্দেশে কিছুদিনের জন্য ভিটে, জমি, ফসল এবং গবাদি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে হচ্ছে। তা সত্বেও, পাক সীমান্ত ঘেঁষা গ্রামগুলির বাসিন্দারা বুধবারের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সাফল্যে মেতে রয়েছেন।

এদিন অমৃতসর, গুরদাসপুর, ফজিলকা সমেত সীমান্ত লাগোয়া পঞ্জাবের বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দাদের দেখা গেল দেশাত্মবোধক গান গাইতে গাইতে ঘর ছাড়ছেন! সাময়িক হলেও ভিটে ছাড়ার কোনও আফসোস নেই তাঁদের মধ্যে।

একজন বললেন, আমাদের সেনা যা করেছে তা ভাল হয়েছে। বহু বছর ধরে পাকিস্তান ক্রমাগত দুরভিসন্ধি করে চলেছে। সে আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করাই হোক বা জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে এদেশের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধ করা হোক।

কার্গিল থেকে পঠানকোট হয়ে উরি তারা কোনও শিক্ষা নেয়নি। আমরা কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। সেনা যা করেছে তাকে স্বাগত জানাচ্ছি।

পাকিস্তানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত ঘেঁষা প্রায় ১ হাজার গ্রামের বাসিন্দাদের অন্যত্র সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। স্থানীয় গুরুদ্বার, মন্দির ও পঞ্চায়েতের তরফে লাউড স্পিকারের মাধ্যমে সেই নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।

এদিন দেখা যায়, জ্বালানির জন্য লম্বা লাইন দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। অনেকে ট্র্যাক্টরে করে ড্রাম নিয়ে এসে প্রয়োজনীয় জ্বালানি মজুত করে রাখছেন।

পাশাপাশি, টাকা তোলার জন্য বহু মানুষ এটিএমে জড়ো হয়েছেন। তাঁরা সকলেই অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী পোঁটলার মধ্যে বেঁধে মাথায় নিয়ে নিরাপদ স্থানের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

কেউ অন্য শহরে আত্মীয়দের বাড়ি যাচ্ছেন, তো কেউ সরকারি শিবিরে থাকা মনস্থির করেছেন। গ্রামের রাস্তায় এদিন শুধু কালো মাথার সারি...। অনেকের মুখে মুখে এখন ১৯৬৫ এবং ১৯৭১ সালের যুদ্ধের কথা ফিরছে।

তবে, বিপদ আছে জেনেও, বাড়ি-ফসলজমি-গবাদি পশু ছেড়ে যেতে চাইছেন না, এমনও অনেক রয়েছেন। বললেন, ফসল পেকে গিয়েছে। আর দিনকয়েকের মধ্যে বাজারে চলে যাবে। এই পরিস্থিতিতে কী করে ফসল, গবাদি ছেড়ে যাবেন, প্রশ্ন তাঁদের। তাঁদের দাবি, সরকারের বোঝা উচিত এখন ছেড়ে গেলে প্রচুর ক্ষতি হয়ে যাবে।