আটের দশকের ‘বিদেশি খেদাও’ দাবিতে গড়ে ওঠা ছাত্র আন্দোলনের ফসল, অসমে পদ্মফুল ফোটানোর এই কারিগর কয়েকদিন বাদেই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিচ্ছেন। অনুপ্রবেশ রোখাকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা জানিয়ে সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে সোনোয়াল বলেছেন, সীমান্ত পাকাপাকি সিল করে দেওয়ার ব্যাপারে দু বছর সময় দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। তার মধ্যেই নদী সংলগ্ন সীমানা সহ গোটা সীমান্তে বেড়া দেওয়ার কাজ শেষ করে ফেলার লক্ষ্যে পদক্ষেপ করব আমরা।
সোনোয়ালের মুখে ১৯ তারিখ ভোটগণনায় বিপুল জয় পাওয়ার দিনও শোনা গিয়েছিল অনুপ্রবেশ ইস্যু ও তা ঠেকানোর প্রসঙ্গ।
প্রসঙ্গত, রাজনাথ সিংহ গত জানুয়ারি দক্ষিণ অসমের করিমগঞ্জে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করে জানিয়েছিলেন, সীমান্তে কাঁটাতার বসানোর কাজ চলতি বছরের শেষেই সম্পূর্ণ হবে। তিনি বলেছিলেন, পাকাপাকি কাঁটাতার বসানো শেষ হয়ে গেলেই আপনাআপনিই অনুপ্রবেশের অবসান হবে। তাছাড়া অনুপ্রবেশ আটকাতে মানুষের মধ্যে সচেতনতার প্রসারও ঘটাতে হবে।
প্রসঙ্গত, অনুপ্রবেশ রোধে বাতিল হয়ে যাওয়া ১৯৮৩ সালের আইএমডিটি (ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বেআইনি অভিবাসনকারী চিহ্নিতকরণ) আইনের বিরোধী সোনোয়াল। তাহলে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কী ব্যবস্থা বা পন্থা নিতে চান, প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, অসমের চূড়ান্ত জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকার খসড়াটি প্রকাশিত হলেই কারা বৈধ নাগরিক, কারাই বা বেআইনি অনুপ্রবেশকারী, শনাক্ত হয়ে যাবে। সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। চলতি আইন অনুসারে বেআইনি ভাবে এ দেশে ঢোকা লোকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাকিস্তান সীমান্তে ওয়াগার মতোই অনুষ্ঠানে হবে অসমে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তেও। আমরা জায়গাটাকে পর্যটনদের ঘোরার জায়গার চেহারা দেব। লোকে সেখানে কুচকাওয়াজ দেখতে আসবেন। এতেও অনুপ্রবেশ থামবে।