নয়াদিল্লি: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছিল দিল্লির ১৬ বছরের এক কিশোর। তাকে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন জীবনের স্পন্দন প্রায় ছিল না বললেই হয়। থমকে গিয়েছিল হৃদস্পন্দনও। কিন্তু চিকিৎসকদের তৎপরতায় ৩৬ ঘণ্টা পরে চালু হল তার হৃদস্পন্দন। এ যাত্রায় রক্ষা পেয়েছে ওই কিশোর।
গত ১ অগস্ট দিল্লিতে প্রবল বৃষ্টি হয়েছিল। সে দিন দিল্লির ওল্ড কোয়ার্টার্স এলাকায় ওই কিশোরের দোকানের সামনে লোহার রেলিংয়ের উপর হাইভোল্টেজ তার পড়েছিল। তখন ওই তারে বিদ্যুৎ সংযোগও ছিল। সেই বিদ্যুতের তারেই তড়িদাহত হয় ওই কিশোর। ঘটনাটি দেখতে পেয়ে এলাকার লোকজন বিদ্যুৎ দফতরে খবর দিলে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করা হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করতেও প্রায় ১০মিনিট লেগেছিল।
এর পরেই কিশোরকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক প্রিয়দর্শিনী পাল জানান, ওই কিশোরকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, তখন তার হৃদস্পন্দন ছিল না। পাওয়া যাচ্ছিল না পালস রেটও। দ্রুত রক্তচাপ কমছিল। বাঁচানোর সম্ভাবনা ছিল ক্ষীণ। তাঁর কথায়, ’’দীর্ঘক্ষণ শরীরের ভিতরে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হওয়ায় অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক ছিল। হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আমরা ওকে সিপিআর দিয়েছিলাম। এই সমস্ত ক্ষেত্রে আমরা সিপিআর প্রয়োগ করি। ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ওই কিশোরের জ্ঞান ফিরে আসে। গত ৫ অগস্ট তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওযা হয়েছে।‘‘
ওই হাসপাতালের স্নায়ুরোগের চিকিৎসক সুধীর ত্যাগী জানিয়েছেন, চিকিৎসকদের উপস্থিত বুদ্ধি এবং দ্রুত সিদ্ধান্তের জন্য ওই কিশোরের জীবন বাঁচানো গিয়েছে। তাঁর কথায়, ’’আর একটু দেরি হলেই কিশোরের মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেত।