চন্ডিগড়: ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ হিসেবে আদায়ের জন্য পাঁচ বছরের মেয়েকে অপহরণ করেছিল ১৬ বছরের এক একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। এরপর ওই শিশুকন্যাকে  চৌবাচ্চায়  ডুবিয়ে খুন করল ওই কিশোর।

ওই কিশোরকে গতকাল রাত ১ টা নাগাদ তার জামাইবাবুর বাড়ি থেকে পাকড়াও করে পুলিশ। ওই বাড়িটি অভিযুক্ত কিশোরের জামাইবাবুকে ভাড়ায় দিয়েছিলেন মৃত শিশুকন্যার বাবা। যে ফোন থেকে সে মুক্তিপণ চেয়েছিল, সেই ফোনটি ট্র্যাক করে পুলিশ ওই বাড়িতে পৌঁছয়। আম্বালার পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ড অভিষেক জোরওয়াল এ কথা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পরও ধৃত কিশোরের চেহারায় কোনও অনুশোচনার চিহ্ন নেই। কিশোরটি পুলিশকে জানিয়েছে, একটি সিনেমা দেখে এভাবে সহজে টাকা আদায়ের ছক কষেছিল সে। পুলিশ যখন বাড়িতে পৌঁছয় তখন ছেলেটি তার ল্যাপটপে কাজ করছিল।

এসপি জানিয়েছেন, মেয়েকটি চৌবাচ্চার জলে ডুবিয়ে মারার পর তার দেহ ওয়াটার কুলারে লুকিয়ে রেখেছিল সে।

ওই কিশোরের জামাইবাবু মৃত শিশুকন্যার বাবার দোকানে কাজ করেন। তিনি ঘটনার দিন সপরিবারে উত্তরপ্রদেশে চলে যান। ফলে বাড়িতে একাই ছিল ওই কিশোর।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন মেয়েটি নিজের বাড়ির বাইরে খেলছিল। সেখান থেকে কিশোর ওই মেয়েটিকে প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে আনে। দীর্ঘক্ষণ বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন এবং পুলিশের কাছেও অভিযোগ দায়ের করেন।

এরইমধ্যে এক প্রতিবেশীর কাছে ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। ওই ফোন নম্বরের অবস্থান পুলিশ খুঁজে বের করে। পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে জানতে পেরে এবং মেয়েটি চিত্কার চেঁচামেঁচি জুড়ে দেবে, এই আশঙ্কায় তাকে খুন করে কিশোর।