প্রসঙ্গত, ছেলেটির দেহের পাশ থেকে ছুরি উদ্ধার হওয়ায়, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান এটি একটি খুনের ঘটনা। মৃত পড়ুয়ার গলায় একটি কাটা দাগ দেখা গেছে। ছেলেকে খুনই করা হয়েছে, দাবি মৃত শিশুর বাবা বরুণ ঠাকুরের। তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষর বিরুদ্ধে প্রথমে প্রদ্যুমানের মৃত্যুর খবর না জানানোর অভিযোগ করেছেন। তাঁর আরও দাবি, ছেলেকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে বাঁচানো সম্ভব হত। স্কুল কর্তৃপক্ষর বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে ভাঙচুর চালান ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা।
গুরুগ্রাম পুলিশের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবীন্দ্র কুমার বলেছেন, পড়ুয়ারাই প্রথমে প্রদ্যুমানের রক্তাক্ত দেহ দেখতে পেয়ে শিক্ষকদের খবর দেয়। এরপর স্কুল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রদ্যুমানকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এখনও পর্যন্ত স্কুলবাসের কন্ডাক্টর, চালক সহ ১০ জনকে জেরা করা হয়েছে। মৃতদেহের পাশ থেকে একটি রক্তাক্ত ছুরি পাওয়া গিয়েছে। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা রক্তের নমুনা ও আঙুলের ছাপ পরীক্ষা করছেন। গুরুগ্রামের ডিসিপি বলেছেন, নিহত ছাত্রর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। কয়েকজনকে জেরা করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে এবছরের জুনেই উত্তর-পশ্চিম দিল্লির রানিবাগে একটি বন্ধ গাড়ির মধ্যে থেকে এক ছ বছরের শিশুর দেহ উদ্ধার হয়। যেহেতু ঘটনাস্থলের কোনও সিসিটিভি ফুটেজ ছিল না, তাই সেই শিশুর মৃত্যুর আসল কারণ কোনওদিনই জানা যায়নি।