নয়াদিল্লি: আসছে এপ্রিলে তীব্র গরম পড়ার প্রবল আশঙ্কার কথা শুনিয়ে রাখল দেশের আবহাওয়া দপ্তর ইন্ডিয়া মেটেরলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট (আইএমডি)। তারা জানাচ্ছে, এবার আগের তুলনায় আরও বেশি গরম পড়বে। তাপপ্রবাহ চলবে দেশের একাধিক রাজ্যে। মার্চ থেকে মে মাসের অর্থাত্ গ্রীষ্মকালীন মরসুমের যে পূর্বাভাস আইএমডি দিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, দেশের উত্তর পশ্চিম এলাকা দাবদাহের কবলে পড়বে সবচেয়ে বেশি। স্বাভাবিকের তুলনায় এক ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি তাপমাত্রা থাকবে ওইসব জায়গায়। বাকি অংশে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকতে পারে।
দেশের 'কোর হিটওয়েভ জোন' অর্থাত্ মূল তাপপ্রবাহপ্রবণ এলাকায় স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি গরম পড়বে বলে জানিয়েছে আইএমডি। এই জোনের মধ্যে পড়ছে পঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও তেলঙ্গানা।
কোর হিটওয়েভ জোনে রয়েছে মারাঠওয়াড়া, মধ্য মহারাষ্ট্র, রাজ্যের বিদর্ভ এলাকা, উপকূলবর্তী রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশও।
১৯০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত অর্থাত গত একশ বছরের কিছু বেশি সময়কালের মধ্যে ২০১৬ উষ্ণতম বছর ছিল বলে জানিয়েছে আইএমডি। গত বছর রাজস্থানের ফালোডিতে তাপমাত্রা উঠেছিল ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। দেশের কোথাও এত বেশি তাপমাত্রা এযাবত্ কখনও নাকি নথিবদ্ধ হয়নি।

গত বছরই দেশে প্রচণ্ড দাবদাহ পরিস্থিতির বলি হয়েছিলেন ১৬০০ বেশি মানুষ। এঁদের মধ্যে ৭০০ জন মারা যান তাপপ্রবাহের জেরে। প্রায় ৪০০ অর্থাত বেশিরভাগই অন্ধ্র, তেলঙ্গানার মানুষ।
আরও একটি চমকে দেওয়া তথ্য হল, ১৯০১ এর পর থেকে অর্থাত্ গত ১১৬ বছরে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসটি অষ্টম উষ্ণতম মাস হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। সেখানে সদ্য শেষ হওয়া জানুয়ারিতে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।