নয়াদিল্লি: চিন সীমান্ত বরাবর বসানোর জন্য বাড়তি ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র সেনার অস্ত্রভাণ্ডারে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনায় সবুজ সঙ্কেত দিল কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের পূর্ব প্রান্তে সুরক্ষা আরও মজবুত করতেই আরও এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হবে। প্রতিরক্ষা সূত্রের খবর, ৪৩০০ কোটি টাকা বেশি অর্থমূল্যের চতুর্থ ব্রহ্মোস রেজিমেন্ট অনুমোদন করেছে সরকার। এই গোটা রেজিমেন্টে আছে প্রায় ১০০টি ক্ষেপণাস্ত্র, পাঁচটি মোবাইল স্বয়ংক্রিয় লঞ্চার, যেগুলি বসানো থাকে হেভি ডিউটি ট্রাকে। আছে একটি মোবাইল কমান্ড পোস্ট। তাছাড়া থাকছে অন্যান্য হার্ডওয়ার, সফটওয়ার।
প্রসঙ্গত, এই ক্ষেপণাস্ত্র সেনাবাহিনীর পরীক্ষা নিরীক্ষা প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিল। শেষ পূর্ব সেক্টরে এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা হয় ২০১৫-র মে মাসে।
সূত্রের খবর, এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ২৯০ কিমি পাল্লার। এর বিশেষত্ব হল, এটি পাহাড়ের আড়ালে লুকিয়ে থাকা শত্রু শিবিরের যে কোনও লক্ষ্যবস্তুকেও নির্ভূলভাবে আঘাত করতে সক্ষম।
ভারতীয় সেনাবাহিনী ইতিমধ্যেই তার ভাণ্ডারে ব্রহ্মোসের তিনটি রেজিমেন্টকে সামিল করেছে। সবগুলিই এই শক্তিশালী মিসাইলের ব্লক-থ্রি সংস্করণের।
ব্রহ্মোসের ভূমি থেকে আক্রমণের সংস্করণটি সেনাবাহিনীতে সামিল রয়েছে ২০০৭ সাল থেকে।
সূত্রের খবর, ফায়ার অ্যান্ড ফরগেট ব্রহ্মোসের শত্রু পক্ষের আকাশ প্রতিরক্ষা সিস্টেমের নজরকে ফাঁকি দিয়ে ভূমিতে থাকা নিশানায় আঘাত করার ক্ষমতা আছে। একবার ছুঁড়ে দেওয়ার পর আর তাকে কোনও নির্দেশ দিয়ে চালনা করার দরকার হয় না।
প্রসঙ্গত, ব্রহ্মোস ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রকে সাবমেরিন, বিমান, জাহাজ বা ভূমি, যে কোনও জায়গা থেকেই নিক্ষেপ করা যায়। সেনার তিন বাহিনীতেই সামিল করা হয়েছে একে।