নাসিক: মৃত্যুর পরও তিনজনকে নতুন জীবন দিয়ে গেল ১১ বছরের ‘ব্রেনডেড’ মেয়ে।
গত ১৫ তারিখ স্কুলে আচমকা অজ্ঞান হয়ে যায় মহারাষ্ট্রের নাসিকের সিন্নার মহকুমার অন্তর্গত পান্ধুরলি গ্রামের বাসিন্দা ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া তেজশ্রী শেলকে। তাকে প্রথমে আদগাঁওয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাকে স্থানান্তরিত করা হয় পওয়ার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
মঙ্গলবার, সেখানেই তাকে ‘ব্রেনডেড’ ঘোষণা করা হয়। চিকিৎসকরা জানান, কোনও কারণে, মেয়েটির মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবারহ বন্ধ হয়ে যায়। তার ফলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে তেজশ্রী।
মেয়ের অকালে চলে যাওয়ায় স্বভাবতই শোকে বিহ্বল ছিল তার গোটা পরিবার। কিন্তু, তা সত্ত্বেও, সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নেয়, তেজশ্রীর অঙ্গদান করা হবে। সেই মতো, তেজশ্রীর শরীর থেকে হৃদপিণ্ড, লিভার ও কিডনি বের করা হয়।
পরে সেগুলিকে পুলিশি প্রহরায় এসকর্ট করিয়ে ‘গ্রিন করিডর’-এর মাধ্যমে মুম্বই, পুণে ও সোলাপুরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, নিহতের হৃদপিণ্ড মুম্বইতে আনা হয়। সেই সময় প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল বাণিজ্যনগরী। কিন্তু, তা উপেক্ষা করে যথাসময়ে হৃদপিণ্ডটি একটি সাত বছরের ছেলের শরীরে প্রতিস্থাপন করেন চিকিৎসকরা।
অন্যদিকে, পুণেতে এক রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয় লিভার। একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয় সোলাপুরের এক রোগীর দেহে।