নয়াদিল্লি: ট্যুইটারে আনুষ্ঠানিক ভাবে রাহুল গাঁধীর কংগ্রেস সভাপতি পদে ইস্তফার ঘোষণাকে কটাক্ষ বিজেপির। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি রাহুলের পদত্যাগকে ‘শতাব্দীপ্রাচীন দলের ব্র্যান্ড নতুন নাটক’ বলে কটাক্ষ করে বলেছেন, আমাদের এতে কিছুই করার নেই।
রাহুল কিছুদিন আগেই লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের লজ্জাজনক ফলের দায় নিয়ে সভাপতি পদ থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানানোর পর থেকেই দলে অনিশ্চয়তা চলছে তাঁর উত্তরসূরী বাছাই নিয়ে। আজ রাহুলের ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে নকভি বলেন, অন্য দলটায় কিছুই না হলে আমি কী করতে পারি। লোকসভা নির্বাচনে অমেঠিতে রাহুলকে হারিয়ে ইন্দ্রপতন ঘটানো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, জয় শ্রী রাম!
বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা আবার রাহুলের ইস্তফার প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁদের দলের পার্থক্য তুলে ধরেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর বলেন, বিজেপিতে সময় বেঁধে সাংগঠনিক নির্বাচন, সদস্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া চলছে। বিজেপি মুখপাত্র নলিন কোহলি কংগ্রেসকে পরিবারকেন্দ্রিক দল আখ্যা দেন, বলেন, বিজেপি কিন্তু গণতান্ত্রিক রীতিনীতি মেনে পরিচালিত হয়। বিজেপিতে একজন একেবারে সাধারণ কর্মীও সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছনোর স্বপ্ন দেখতে পারেন। যেভাবে নরেন্দ্র মোদির মতো একজন একটা গরিব পরিবার থেকে দেশের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পদে নির্বাচিত হয়ে বসেছেন, তা থেকেই এটা প্রমাণিত। আর কংগ্রেস চলে নেহরু-গাঁধী পরিবারের ইচ্ছেয়। ওদের দলের সভাপতি প্রায় সবসময়ই এই প্রথম পরিবার থেকেই হয় বা এমন কেউ হয় যে ওদের মনোনীত, অনুগামী। সুতরাং কে সভাপতি হবেন বা কে সেই পদ ছাড়বেন, সেটা ওই পরিবারেরই ব্যাপার।
আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ টোমার মন্তব্য করেন, আমরা ওই দলটাকে ধন্যবাদ দিতেই পারি।