কলকাতা: ৪ জানুয়ারি থেকে রাজ্যে স্কুল খুলতে চায় ICSE বোর্ড । দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের স্কুলে আনার আর্জি। মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি কাউন্সিলের সিইও-র। এখনও স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, খবর সরকারি সূত্রে। করোনা সঙ্কটের জেরে ৮ মাসের বেশি সময় রাজ্যে স্কুল বন্ধ। এর মধ্যে কবে স্কুল খুলবে না খুলবে, তা নিয়ে নানা সময় উঠেছে নানা কথা। আইসিএসই বোর্ডের অধীন স্কুলগুলিতে অনলাইনেই চলছে পঠন - পাঠন।
এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়নি কবে হবে দশম ও দ্বাদশের পরীক্ষা। কিন্তু উঁচু ক্লাসগুলির পড়াশোনার সবটুকু তো অনলাইনে সম্ভব নয়। বহু বিষয়ের জন্যই দরকার অনেক প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস। সেটা ভার্চুয়ালে অসম্ভব। তাই আগামী বছর থেকে যাতে পড়ুয়ারা স্কুলে এসে সেই ক্লাসগুলি করতে পারে, সেই কথা ভেবেই সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি দিয়েছেন ICSE কাউন্সিলের সিইও। সেই চিঠি এসে পৌঁছেছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও। সূত্র মারফত তেমনটাই বলা হয়েছে।

মার্চ মাস থেকে বন্ধ স্কুল। এই পরিস্থিতিতে স্কুল না খুললে পড়ুয়ারা সমস্যায় পড়তে পারে। সেই কথা মাথায় রেখেই মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে ICSE র এই আর্জি। ICSE বোর্ড দিল্লির হলেও রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া রাজ্যে স্কুল খোলা সম্ভব নয়। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের গ্রিন সিগন্যাল পেলেই তাদের পক্ষে এগনো সম্ভব। যদিও এখনও স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই সরকারি সূত্রের খবর।

এখনও পর্যন্ত কাজ্যের স্কুল-কলেজ খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। ডিসেম্বর থেকে কলেজ খোলার কথা থাকলেও, তা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রক। ২০২০ তে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হচ্ছে না। অ্যাডমিশনের সময়ও বাড়ানো হয়েছে।

ICSE

অন্যদিকে, রাজ্য সরকারি স্কুল খোলা নিয়েও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, বর্তমান যা পরিস্থিতি, আবার তো ফিরে আসছে করোনা। অনেক রাজ্য তো স্কুল খুলে আবার বন্ধ করেছে। কোন পথে গেলে পড়ানো এবং পড়ুয়াদের স্বার্থ সুরক্ষিত হবে, সেই পথ খুঁজছি।

আইসিএসই, সিবিএসই- র অনলাইনে ক্লাস হলেও, রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে তাও পুরোপুরি করা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে ICSE বোর্ডকে অনুমতি সরকার দেয় কিনা, সেই দিকেই নজর পড়ুয়াদের। 

প্রতিবেদন : কৃষ্ণেন্দু অধিকারী