উজ্জ্বয়িনী (মধ্যপ্রদেশ): যে ভারত ভাঙো ব্রিগেড (ব্রেকিং ইন্ডিয়া ব্রিগেড) ২০১৬-য় জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ) দেশবিরোধী স্লোগান দিয়েছিল, মহারাষ্ট্রে জাতিগত হিংসা, সংঘর্ষের জন্য তাদেরই দায়ী করল আরএসএস। ওরা দেশকে ধর্ম, জাতের ভিত্তিতে টুকরো করতে চায়, কিন্তু সঙ্ঘ তা হতে দেবে না বলে জানান আরএসএসের মুখপাত্র মনমোহন বৈদ্য।
তিনি বলেন, ২০১৬-য় জেএনইউতে ব্রেকিং ইন্ডিয়া ব্রিগেড ভারত ভেঙে খন্ড খন্ড হবে বলে স্লোগান দিয়েছিল। দেশকে ধর্ম, জাতের নামে ভাঙতে চায় ওরা। হিন্দু সমাজকে টুকরো করতে চায়। সঙ্ঘ এর বিরোধিতা করছে। পুণের হিংসার পিছনে আরএসএসের হাত রয়েছে বলে তাঁর সন্দেহ, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর এই মন্তব্য প্রসঙ্গে সঙ্ঘ সমাজের সব অংশকে ঐক্যবদ্ধ করেই এগিয়ে চলতে চায় বলে মন্তব্য করেন বৈদ্য।
তিনি বলেন, ভারতীয়-মার্কিন লেখক রাজীব মালহোত্র তাঁর বই 'ব্রেকিং ইন্ডিয়া'-তে এই ভারত-বিরোধী মনোভাবের কথা বিশেষ ভাবে লিখেছেন। রাজনৈতিক ফায়দা তোলাই এর উদ্দেশ্য বলে অভিমত জানিয়েছেন তিনি। সে কারণেই এই ভারত ভাঙা বাহিনী এ ধরনের কাজকর্মে জড়াচ্ছে। কিন্তু আমরা তা সফল হতে দেব না। আরএসএস এমন মানসিকতার কঠোর বিরোধিতা, নিন্দা করছে।
এদিন দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য আরএসএসের দুদিনের বৈঠকের সূচনা হয় এখানে। পৌরোহিত্য করেন সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত।
বৈদ্যের দাবি, সঙ্ঘের ক্যাডার ভিত প্রসারিত হচ্ছে। ২০১৭-র জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে দু লক্ষের বেশি যুবক সঙ্ঘে যোগ দিয়েছে, সঙ্ঘের শাখা সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বেড়েছে বলে তিনি জানান।
এদিন মহারাষ্ট্রের হিংসায় আরএসএসের বিরুদ্ধে ইন্ধন দেওয়ার কংগ্রেসের তোলা অভিযোগ উড়িয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সত্যপাল সিংহ দাবি করেন, সঙ্ঘ একটি জাতীয়তাবাদী সংগঠন যারা দেশে শান্তি স্থাপন করতে চায়, হিংসা ছড়ানো তার লক্ষ্য নয়। তিনি এও বলেন, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফঢ়নবিশ বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন, যা থেকে হিংসায় কারা দায়ী, সে ব্যাপারে প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসবে।