নয়াদিল্লি: পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সীমান্তে প্রহরারত বিএসএফ জওয়ান ও অফিসারদের বিষণ্ণতা ও আত্মহত্যার প্রবণতা রোখার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হল। বার্ষিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার অঙ্গ হিসেবে জওয়ান ও অফিসারদের মানসিক অবস্থার উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। ‘ওয়েলনেস কোশন্ট অ্যাসেসমেন্ট টেস্ট’ চালু করা হয়েছে। এই উদ্যোগের ফলে সাফল্যও এসেছে।

বিএসএফ-এর ডিরেক্টর জেনারেল কে কে শর্মা বলেছেন, ‘অতীতে কোনও অভিযানের চেয়ে হৃদরোগ, আত্মহত্যা বা দুর্ঘটনায় বেশি জওয়ান ও অফিসারের মৃত্যু হয়েছে। তবে আমরা বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়ার ফলে আত্মহত্যার ঘটনা অনেক কমে গিয়েছে। ২০১৪ সালে বিএসএফ-এর ৪৬ জন জওয়ান ও অফিসার আত্মহত্যা করেছিলেন। ২০১৫ সালে আত্মহত্যার ঘটনা কমে হয় ২৭। গত বছর আরও কমে হয় ২৪। জওয়ানদের মানসিক চাপ কাটানোর জন্য কয়েকটি কোর্স চালু করা হয়েছে। কোনও জওয়ান বা অফিসার মানসিকভাবে বিধ্বস্ত কি না, সেটা জানার জন্য বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে। এর ফলে দারুণ উপকার হচ্ছে। ৯৫ শতাংশ জওয়ান ও অফিসারই মানসিকভাবে সুস্থ। বাকিদের কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সীমান্তে প্রতিকূল পরিবেশে থাকতে হয় জওয়ানদের। তাঁরা দীর্ঘদিন পরিবারের লোকজনের থেকে দূরে থাকতে বাধ্য হন। তার ফলেই জওয়ানদের মানসিক সমস্যা হয়। বিএসএফ-এর ডিজি-র মতে, বেশিরভাগ জওয়ান ও অফিসারই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন। সামান্য কয়েকজন মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের মানসিক চাপ সামাল দেওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, ছুটি কাটিয়ে ফেরার ১০-১৫ দিনের মধ্যেই জওয়ান বা অফিসাররা আত্মহত্যা করেছেন। পারিবারিক জীবনের নানা চাপের কারণেই তাঁরা চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জওয়ানদের মানসিকভাবে সুস্থ রাখার জন্য যোগাসনের পাশাপাশি ৪০ মিনিটের একটি ছবিও দেখানো হচ্ছে। এর ফলে তাঁদের উপকার হচ্ছে।