জম্মু: সীমান্তের ওপার থেকে পাকিস্তানি স্নাইপারদের ছোঁড়া গুলিতে প্রাণ দিলেন বিএসএফের সহকারী কম্যান্ডাট। সরকারি সূত্রের খবর, বিএসএফ জওয়ানরা আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর এরিয়া ডমিনেশনের কাজ করছিলেন। মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৫০ নাগাদ জম্মুর কাঠুয়ার হিরানগর-সাম্বা সেক্টরে তাঁদের ওপর গুলিবর্ষণ করে পাকিস্তান রেঞ্জার্সের স্নাইপাররা। গুলিতে মারাত্মক জখম হন অ্যাসিস্ট্যান্ট কম্যান্ডান্ট বিনয় প্রসাদ। তাঁকে জম্মুর সাতওয়ারির সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। শহিদ অফিসারের প্রতি বিএসএফের ডিরেক্টর জেনারেল ও বাহিনীর সব স্তরের জওয়ানরা শ্রদ্ধা প্রকাশ করে কুর্নিশ করছেন বলে জানিয়েছেন সংস্থার জনৈক শীর্ষ অফিসার। বিএসএফ তাঁর পরিবারের পাশে আছে বলেও জানান তিনি।
পাকিস্তানি সেনারা রাজৌরি জেলায় নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর যুদ্ধবিরতি ভেঙে গোলাগুলি বর্ষণ, শেলিং করেছে বলেও জানা গিয়েছে। ভারতীয় সেনাও এর মুখের মতো জবাব দিয়েছে। সুন্দরবনি সেক্টরেও নিয়ন্ত্রণ রেখায় পাক সেনা গুলি চালিয়েছে, শেলিং করেছে বলে খবর। প্রতিরক্ষা বাহিনীর জনসংযোগ অফিসার এক বিবৃতিতে বলেন, সকাল দশটায় সুন্দরবনি সেক্টরে বিনা প্ররোচনায় গোলাগুলি, শেলিং শুরু করে পাকিস্তানিরা, যার জবাব দেয় ভারতীয় সেনাও। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, গুলির লড়াই চলছে।
সেনা সূত্রে খবর, ২০১৮য় পাক সেনারা ২৯৩৬টি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। গত ১৫ বছরে এটাই ভারত-পাক সীমান্ত বরাবর ওদের সবচেয়ে বেশি যুদ্ধবিরতি ভাঙার ঘটনা। রবিবার রাজৌরির কেরি সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখায় পাক বাহিনীর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনে জখম হন এক সেনা জওয়ান। শুক্রবারও রাজৌরির নওশেরায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে পাক সেনারা গুলি চালালে নিহত হন সেনার এক মালবাহী কর্মী। সেদিনই রাজৌরির লাম সাব সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখায় আইইডি বিস্ফোরণে নিহত হন এক মেজর, এক জওয়ান।
পাকিস্তানকে বারবার বলা সত্ত্বেও তারা ২০০৩ সালের যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে গোলাগুলি চালাচ্ছে।