নয়াদিল্লি:  রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পশ্চিমবঙ্গে ২২ টি স্পর্শকাতর স্থানে টহলদারি বাড়িয়েছে বিএসএফ। একইসঙ্গে রোহিঙ্গাদের নিজেদের বাংলাদেশি পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা মোকাবিলায় বাংলা ভাষা জানা জওয়ানদের ব্যবহার করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে ভরসা রাখা হচ্ছে স্থানীয় সূত্রের ওপরও। সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর এক আধিকারিক এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বেআইনিভাবে কেউ সীমান্ত পেরিয়ে এলে তাকে ধরা হয়। ওই ব্যক্তিকে জেরা করেন বাহিনীর জওয়ানরা। রোহিঙ্গারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজেদের বাংলাদেশি বলে পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা করে। যদিও বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের উচ্চারণ আলাদা। সেই উচ্চারণের কারণেই অনেক সময় রোহিঙ্গাদের মিথ্যেটা ধরা পড়ে যায়।
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত পাঠাতে চাইছে কেন্দ্র। এদেশে এখন প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা রয়েছে। আর যাতে কোনও অনুপ্রবেশ না হয়, তা নিশ্চিত করতে উত্তর ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ ও নদীয়া জেলার ২২ সংবেদনশীল এলাকায় সীমান্তে টহলদারি বাড়ানো হয়েছে।
বিএসএফ (দক্ষিণবঙ্গ) আইজি পিসিআর আনাজানেয়ুলু বলেছেন, এই রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়টি সামনে আসার পর ওই সীমান্তের ওই সংবেদনশীল এলাকাগুলির নিরাপত্তা  সম্পর্কে পর্যালোচনা করা হয়। ওই জায়গাগুলিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বাংলা জানা জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছে।
বিএসএফের ওই আধিকারিক আরও বলেছেন, বাহিনী ১৭৫ জন রোহিঙ্গাকে ধরেছে। যাদের মধ্যে চলতি বছর ধরা হয়েছে সাত জনকে।
এদিকে, নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসএফের এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে হয়েছে, রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে চিলি ও স্টান গ্রেনেডও ব্যবহার করা হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের  আটকাতে বাহিনীকে ‘কঠোর ও রূঢ়’ পদ্ধতি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ওই আধিকারিক আরও বলেছেন, আমরা রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের জখম বা গ্রেফতার করতে চাই না। কিন্তু ভারতের মাটিতে ওদের বরদাস্ত করা হবে না। দলে দলে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকারী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চিলি স্প্রে ভরা গ্রেনেড ব্যবহার করা হচ্ছে। পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ বলেও তিনি জানিয়েছেন।
ওই আধিকারিক নিজের পরিচয় প্রকাশ করতে চাননি। কারণ, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার দায়িত্ব তাঁর নেই বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, বিএসএফের এক ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল আরপিএস জসওয়াল বলেছেন, তাঁদের বাহিনীকে চিলি ও স্টান গ্রেনেড-উভয়ই ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।