নয়াদিল্লি: চাকুরজীবীদের নিরাশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। নরেন্দ্র মোদী সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেটে জনপ্রতিনিধিদের যখন পৌষ মাস, তখন মাথায় হাত মধ্যবিত্তর। অপরিবর্তি থাকল ব্যক্তিগত কর কাঠামো। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বাজেট পেশ করতে গিয়ে বলেছেন, গত তিন বছরে ব্যক্তিগত আয়করের ক্ষেত্রে অনেকগুলি ইতিবাচক বদল ঘটিয়েছে। তাই এ বিষয়ে আর কোনও বদল ঘটানো হচ্ছে না।
তবে বাজেটে রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালদের বেতন বাড়িয়েছে সরকার। রাষ্ট্রপতির বেতন বেড়ে হবে ৫ লাখ টাকা। উপ রাষ্ট্রপতি ৪ লক্ষ এবং রাজ্যপালেরা পাবেন ৩.৫ লক্ষ টাকা। বঞ্চিত হচ্ছেন না সাংসদরাও। ৫ বছর অন্তর বেতন বাড়বে তাঁদেরও।
সাধারণ মানুষের ঘাড় থেকে করের বোঝা নামাতে ব্যক্তিগত আয়কর কাঠামোয় সরকার কিছু পরিবর্তন করবে বলেই আশা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই আশায় জল ঢাললেন জেটলি। আয়করদাতারা ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন দেখাতে পারবেন। কিন্তু এই ৪০ হাজার টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন মিললেও লাভের গুড় পিপড়েয় খাবে ১ শতাংশ বাড়তি সেস-এ। বাজেট প্রস্তাবে শিক্ষা-স্বাস্থ্য সেস ১ শতাংশ বাড়ানোর কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। ফলে বাড়ছে সব বিলের অঙ্ক।
বর্তমানে ব্যক্তিগত আয় করের তিনটি স্তর রয়েছে। বার্ষিক ২.৫ থেকে ৫ লক্ষ টাকা আয়ের ক্ষেত্রে কর ৫ শতাংশ, বার্ষিক ৫-১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর ২০ শতাংশ এবং ১০ লক্ষের বেশি আয়ের ক্ষেত্রে কর ৩০ শতাংশ।
আড়াই লক্ষ টাকার কম আয় করমুক্ত।
তবে প্রবীণদের জন্যঅল্প হলেও কিছুটা ছাড়ের ঘোষণা করেছেন জেটলি। বাজেট প্রস্তাবে প্রবীণ নাগরিকদের ব্যাঙ্কের সুদে ৫০ হাজার পর্যন্ত ছাড় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে, ৮০ ডি ধারায় প্রবীণদের স্বাস্থ্যবিমায় কর ছাড়ের সীমা বাড়িয়ে ২৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার করা হয়েছে।