নয়াদিল্লি: করছাড়ের সীমা বর্তমান আড়াইলাখ টাকার থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ করতে পারে কেন্দ্র। আসন্ন কেন্দ্রীয় বাজেটে এ ব্যাপারে ঘোষণা হতে পারে। এতে উপকৃত হবেন কয়েক কোটি করদাতা।


এছাড়া ৮০সি ধারায় করছাড়ের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।

অর্থনীতির গতি কমায় ক্রেতাদের চাহিদায় পতন ঘটেছে চোখে পড়ার মত। আগে মনে করা হচ্ছিল, কেন্দ্র সম্ভবত আয়কর আইনের কিছু ধারায় আয়করের সীমা কমাতে পারে। কিন্তু বাজারে বিক্রিবাটা কমে যাওয়ায় শোনা যাচ্ছে, মানুষকে কিছুটা দম ছাড়ার সুযোগ দিতে ও জিনিসপত্রের চাহিদা বাড়াতে আয়করের সীমা আড়াই থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। যদিও এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া এখনও বাকি।

যদি আয়করের সীমা বাড়ানো হয়, তবে চাকরিজীবী ও কর্মরতম আয়করদাতারা অন্তত অতিরিক্ত আড়াইহাজার টাকা করে হাতে পাবেন। কিন্তু ঘটনা হল, অর্থনীতির এই মুহূর্তে এতটাই সঙ্গীন অবস্থা যে এক ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিতে গেলে অন্য ক্ষেত্রে টানাটানি শুরু হবে। অর্থাৎ আয়কর ছাড়ের সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলে কোষাগারে চাপ পড়ে আর্থিক ঘাটতি বাড়তে পারে আরও। ১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এই আর্থিক বছরে আর্থিক ঘাটতি ছিল জিডিপির ৩.৪ শতাংশ।

যদিও আয়কর আইনের ৮০সি ধারার আওতায় বিনিয়োগকারীদের আরও কর ছাড় দিতে পারে অর্থ মন্ত্রক। এই মুহূর্তে এই ধারায় কর ছাড়ের পরিমণ দেড় লাখ টাকা। তা বেড়ে হতে পারে ২ লাখ।

কিন্তু দেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও এর ফলেও আর্থিক ঘাটতি বাড়তে পারে। যদিও অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, আর্থিক বৃদ্ধির হার চাঙ্গা করাকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে তারা। এ জন্য বর্তমান ৩.৪ শতাংশ আর্থিক ঘাটতি বেড়ে ৩.৬ শতাংশ হলে তাদের আপত্তি নেই।