নয়াদিল্লি: বাজেট পেশের রেশ ফিকে হওয়ার আগেই শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর। আর যার কেন্দ্রে ‘পুজিঁবাদী বন্ধু’ তকমা। রাহুল গাঁধী কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেটের সমালোচনা করতে গিয়ে ‘পুঁজিবাদী বন্ধুদের হাতে মোদি সরকারের দেশের সম্পদ তুলে দেওয়ার প্রচেষ্টা’ বলে সমালোচনা করেছেন। যার পাল্টা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণও। তিনি সামনে তুলে এনেছেন ২০১৫ সালের কেরল বন্দরের উন্নয়নে সেখানকার তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের ভূমিকার কথা।


বর্তমানে মোদি সরকারের পুঁজিবাদী বন্ধু বলতে গিয়ে আগে রাহুল যে সংস্থাগুলোর নাম উল্লেখ করে থাকেন, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আদানি গ্রুপ। কেরলে ক্ষমতায় থাকাকালীন কংগ্রেস সরকারের বিজিনজাম বন্দর উন্নয়নের জন্য আদানি গ্রুপের হাতে তুলে দেওয়া নিয়ে তাই আক্রমণের তির ফিরিয়ে দিয়েছেন নির্মলা সীতারমণ।

যে প্রসঙ্গ টেনে সীতারমণ বলেছেন, ‘পুঁজিবাদী বন্ধু বলতে উনি যাদের কথা বলেন, তাদের হাতেই তো কেরলের বন্দর উন্নয়নের দায়িত্ব তুলে দিয়েছিল কংগ্রেস সরকার। তাই ওর কাছে জানতে চাইব বিজিনজাম বন্দরের উন্নয়নেও কি বন্ধু পুঁজিবাদীদের হাত ছিল! রাহুল গাঁধীকে মনে করিয়ে দিতে চাইব কেরলে তখন ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। আশা রাখি যে কথা উনি বলছেন সেটা বুঝেশুনে বললেন, নাহলে বুঝতে হবে বাজে পরামর্শে কান দিচ্ছেন।’

এদিনের বাজেটে পরের দুই আর্থিক বছরে পাবলিক সেক্টর কোম্পানি ও অর্থনৈতিক সংস্থাগুলির ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকার মালিকানা অর্থ বাজারজাত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন নির্মলা সীতারমণ। দুটি পাবলিক সেক্টর আনডারটেকিং ব্যাঙ্ক ও এলআইসি-র মতো ইন্যুরেন্স সংস্থাও রয়েছে যার মধ্যে।

কেন্দ্রের যে সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই মুখ খুলে রাহুল গাঁধী টুইটারে লেখেন, ‘জনসাধারণের হাতে অর্থ তুলে দেওয়া তো দূর হস্ত, মোদি সরকার পরিকল্পনা করেছে ভারতের সমস্ত সম্পদ তাঁদের পুঁজিবাদী বন্ধুদের হাতে তুলে দেওয়ার।’ কংগ্রেসের পক্ষেও বাজেটকে প্রচণ্ড হতাশাজনক ও দিশাহীন বলে আখ্যা দেওয়া হয়।

অর্থমন্ত্রীর বর্ম চাপিয়ে বাজেট পেশের পর রাহুল গাঁধীর পুঁজিবাদী আক্রমণের পাল্টা তাদের ক্ষমতাকালের ঘটনাক্রম মনে করিয়ে দিয়ে রাজনৈতিক লড়াইয়েও নামলেন বিজেপি নেত্রী নির্মলা সীতারমণ।