নয়াদিল্লি: ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের জন্য পেশ করা বাজেটে আর্থিক চাহিদা ও বাস্তব পরিস্থিতির মধ্যে ভারসাম্য রাখা হয়েছে বলে দাবি করলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তিনি বলেছেন, ‘বর্তমান সময়ের বাস্তব আর্থিক প্রয়োজনীয়তা এবং চাহিদার মিশ্রণ ঘটেছে এই বাজেটে। আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল এ বছর রাজস্ব ঘাটতি ৩.২ শতাংশে রাখা। গত কয়েক বছর ধরেই আমরা এই লক্ষ্য পূরণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ বছর অনেকরকম পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়েছে। তার মধ্যে একটা হল, এ বছর এক মাস কম জিএসটি রাজস্ব আদায় হয়েছে।’


আজ বাজেট পেশ করার সময় জেটলি বলেছেন, ‘এ বছর রাজস্ব ঘাটতির হার থাকবে ৩.৫ শতাংশ। আমরা সরাসরি কর রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে অনেকটা ঘাটতি পূরণ করতে পেরেছি। বিলগ্নিকরণের মাধ্যমেও ঘাটতি অনেকটা পূরণ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও সামান্য ঘাটতি রয়ে গিয়েছে। এ বছর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জিএসটি রাজস্ব আদায় হওয়ার ফলেই এটা হয়েছে।’

এক লক্ষ টাকার উপরে শেয়ার বিক্রি করার ক্ষেত্রে লং টার্ম ক্যাপিটাল গেইনে ১০ শতাংশ কর চাপানোও যথাযথ বলে দাবি করেছেন জেটলি। তিনি বলেছেন, গত অর্থবর্ষে দেশী ও বিদেশি লং টার্ম ক্যাপিটাল গেইনের ক্ষেত্রে ৩.৬৭ লক্ষ কোটি টাকায় কর ছাড় দেওয়া হয়েছিল। এবার তহবিল তৈরির উদ্দেশে কর ছাড় দেওয়া হয়নি।