নির্যাতিত পরিবারটি জানিয়ে দিয়েছে, ৩ মাসের মধ্যে বিচার না পেলে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হবে তারা। মেয়েটির বাবা জানিয়েছেন, সে রাতের পর মেয়ের চোখের দিকে তাকানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। মেয়েকে যখন ধর্ষকরা ধরে, তখন সে 'পাপা' বলে ডেকে উঠেছিল। কিন্তু মাথায় হাতুড়ির ঘা পড়ায় তাকে সাহায্য করার ক্ষমতা তাঁর ছিল না।
তিনি আরও জানিয়েছেন, নয়ডায় তাঁরা রয়েছেন ১৮ বছর ধরে। বর্তমানে যেখানে তাঁদের বাড়ি, সেখানে ৮-৯ বছর ধরে আছেন তাঁরা। কিন্তু যে অবস্থার মধ্যে দিয়ে এখন যাচ্ছেন, তাতে মনে হয় না, আর বাড়ি ফিরতে পারবেন বলে। ঘটনার পর থেকে এক বন্ধুর বাড়ি রয়েছেন তিনি। স্ত্রী, কন্যা দুজনেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কিন্তু এখন বন্ধুও রাখতে চাইছেন না তাঁকে। মানসিক যন্ত্রণার হাত থেকে বাঁচতে বাড়ি পাল্টানোর পাশাপাশি মেয়ের স্কুলও বদলাতে হবে তাঁদের।
ভদ্রলোক জানিয়েছেন, ঘটনার পর থেকেই তাঁর মেয়ে ‘শক’-এর মধ্যে আছে, তারপর থেকে কিচ্ছু খায়নি সে। তাকে জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা চলছে। ডাক্তারি পরীক্ষার সময় তাকে অসঙ্গত প্রশ্ন করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
উত্তরপ্রদেশের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী আজম খান অবশ্য এতেও রাজনীতির গন্ধ পেয়েছেন। তাঁর সন্দেহ, অখিলেশ সরকারকে বদনাম করার জন্য বিরোধীরাই ঘটিয়েছে এই ধর্ষণ। বিষয়টি সরকারের তদন্ত করে দেখা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।