ডায়রিতে লেখা, কাপে জল রাখ। জল যখন রং বদলাবে, তুমি বেঁচে যাবে। আত্মহত্যার ঘর থেকে জল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, ওই পরিবার ভাবেনি, তারা মরবে। তাদের ধারণা ছিল, পৃথিবী কেঁপে উঠবে, আকাশে বিদ্যুৎ চমকে উঠবে আর তারপরেই বেঁচে যাবে তারা। তবে ওই ১১টি ডায়রির সঙ্গে এই মৃত্যুর কোনও সম্পর্ক নেই বলে পুলিশ মনে করছে।
বাড়ির বাইরেই বসানো ছিল সিসিটিভি ক্যামেরা। তাতে ধরা পড়েছে, বাড়ির বড় বৌ সবিতা মেয়ে নীতুকে সঙ্গে নিয়ে ৫টি টুল কিনে আনছেন। তাতে চড়েই পরে গলায় ফাঁস লাগান তাঁরা। আবার রাত সোয়া দশটা নাগাদ বাড়ির তরুণতম ২ সদস্য ধ্রুব আর শিবম প্লাইউডের দোকান থেকে কিনে আনে ইলেকট্রিক তারের গোছা। তা গলায় দিয়েই পরিবারের ১০ জন ওপর থেকে ঝুলে পড়েন।
গত রবিবার ভাটিয়া পরিবারের ১০ সদস্যকে বাড়ির একটি বড় ঘরে ওপর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পাশের ঘরে উদ্ধার হয় পরিবারের বয়স্কতম সদস্য ৭৭ বছরের নারায়ণ দেবীর নিষ্প্রাণ দেহ। অন্যান্য মৃতরা হলেন নারায়ণ দেবীর মেয়ে প্রতিভা, প্রতিভার দুই ছেলে ভবনেশ ও ললিত, মেয়ে প্রিয়ঙ্কা, ভবনেশের স্ত্রী সবিতা, ললিতের স্ত্রী টিনা, ভবনেশ-সবিতার ৩ সন্তান নীতু, নিধি ও ধ্রুব এবং ললিত-টিনার ছেলে শিবম। প্রিয়ঙ্কার আশীর্বাদ হয়ে গিয়েছিল, এ বছরের শেষে বিয়ের কথা ছিল তাঁর।