শ্রীনগর: বুরহান ওয়ানি নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হওয়ার বছরখানেকের মাথায় সবজার আহমেদ ভাট নামে আরেক হিজবুল মুজাহিদিন সন্ত্রাসবাদীও খতম হল শনিবার। বুরহানের উত্তরসূরীই মনে করা হচ্ছিল সবজারকে। পুলওয়ামার ট্রালে নিরাপত্তাবাহিনীর ঘিরে ফেলা একটি বাড়ির ভিতরে আটকে পড়ে সে। সেখানেই নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলিযুদ্ধে প্রাণ হারায় সবজার। তার সঙ্গেই এক পাকিস্তানি সমেত দুই জঙ্গি গা ঢাকা দিয়েছিল সেখানে। তাদের কী হয়েছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও অভিযান চলছে। যদিও একটি সূত্রের খবর, সবজারের সঙ্গেই মৃত্যু হয়েছে এক জঙ্গির। ওদের  মৃত্যুর পরই কাশ্মীর উপত্যকার নানা স্থানে নিরাপত্তাবাহিনীকে টার্গেট করে পাথর ছোঁড়া শুরু হয়।



সামরিক গোয়েন্দা সূত্রে শীর্ষ হিজবুল জঙ্গিদের আত্মগোপন করে থাকার সুনির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে ৪২ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস (আরআর) ও জম্মু-কাশ্মীর যৌথ বাহিনী ট্রালের হারদুমিরের কাছে সাইমু এলাকা চারদিক থেকে কর্ডন করে তল্লাশি অভিযান শুরু করে গতকাল সন্ধ্যায়। রাতের দিকে তাদের লক্ষ্য করে ছুটে আসে গুলিগোলা। সকাল থেকে শুরু হয় দুপক্ষের তীব্র গুলির লড়াই। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল এসপি বৈদ সবজারের মারা যাওয়ার খবর দেন।

কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদের পোস্টার বয় বলে পরিচিত বুরহান দক্ষিণ কাশ্মীরে নিহত হয় গত বছরের ৮ জুলাই। হিজবুলের প্রধান হিসাবে তার স্থলাভিষিক্ত হয় জাকির মুসা। কিন্তু কাশ্মীরে তারা রাজনৈতিক সংগ্রামের জন্য নয়, শরিয়তের শাসন কায়েম করতেই লড়ছে, এ কথা ঘোষণা করে সেই লক্ষ্যের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ালে হুরিয়ত নেতাদের মাথা কেটে ঝুলিয়ে দেবে বলে মুসার হুঁশিয়ারি ঘিরে বিচ্ছিন্নতাবাদী শিবিরে তীব্র মতবিরোধ তৈরি হয়। হিজবুল মুসার মন্তব্য তার ব্যক্তিগত মত বলে জানিয়ে দেওয়ায় পাল্টা সে-ও গত ১৩ মে দল ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে।

সূত্রের খবর, মুসা ও সবজার নাকি পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী। সে সম্প্রতি শ্রীনগরে গিয়েছিল হুরিয়ত নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে। উদ্দেশ্য ছিল, মুসার হুঁশিয়ারি কেন্দ্র করে হুরিয়তের সঙ্গে বিরোধ মিটিয়ে ফেলা।