স্থানীয় থানার স্টেশন অফিসার শোয়েব খান জানিয়েছেন, ‘মৃত নরেশ পাল গঙ্গবর নয়ডার একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। তিনি একটি ফোনে কথা বলতে বলতে অন্য একটি ফোনে মেসেজ পাঠাতে ব্যস্ত ছিলেন। সেই অবস্থায় রেললাইন পেরনোর সময় তিনি ট্রেনের শব্দ শুনতে পাননি। এরই ফলে তিনি ট্রেনের ধাক্কায় মারা যান।’
বরেলি শহরের পুলিশ সুপার রোহিত সিংহ সাজওয়ান জানিয়েছেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তি আত্মহত্যা করেননি, এটি দুর্ঘটনা। আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি।’
নরেশের জামাইবাবু বীরেশ গঙ্গবর জানিয়েছেন, ‘রবিবার শাহজাহানপুরের বাসিন্দা উমা গঙ্গবরের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল নরেশের। আমরা শেষমুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ছিলাম। সকাল ৯টা নাগাদ এক সহকর্মী ফোন করায় বাড়ির বাইরে চলে যায় নরেশ। বাড়ি থেকেই ৫০ মিটার দূরে রেললাইন। ও এক ফোনে কথা বলতে বলতেই অন্য ফোনে মেসেজ পাঠাচ্ছিল। সেই সময় সেখান দিয়ে রাজ্যরানি এক্সপ্রেস যাচ্ছিল। ফোনে ব্যস্ত থাকায় ট্রেনের শব্দ শুনতে পায়নি নরেশ। ওর জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন যেটা হতে চলেছিল, সেদিনই যে এই মর্মান্তিক পরিণতি হবে, সেটা আমরা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। আমরা সবাই শোকাহত। যে মেয়েটির সঙ্গে নরেশের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল, তাকে সান্ত্বনা জানানোর কোনও ভাষাই আমাদের নেই।’
নরেশের ছোটবেলার বন্ধু অনিল গঙ্গবর বলেছেন, ‘চারমাস আগে নরেশের বিয়ে ঠিক হয়। আমরা সবাই এই দিনটার অপেক্ষায় ছিলাম। নরেশ ভাল ছাত্র ছিল। মথুরা থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর ও দেড় বছর ধরে নয়ডায় কর্মরত ছিল। আমি বিয়েবাড়ির জন্য এখানে এসেছিলাম, কিন্তু এখন শ্মশানে যেতে হবে।’