কলকাতা :বিধানসভা নির্বাচন কড়া নাড়ছে পশ্চিমবঙ্গের দরজায়।এপ্রিলের মধ্যেই রাজ্যে নির্বাচন শেষ করে ফেলতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলি বাকযুদ্ধ তীব্রতর হয়ে উঠেছে। এরইমধ্যে দেশের মুড জানতে সমীক্ষা চালিয়েছে সি ভোটার। দেশব্যাপী  এই জনমত সমীক্ষায় উঠে এসেছে বেশ কিছু রাজনৈতিক তাৎপর্যপূর্ণ তথ্য।

করোনাভাইরাস মহামারী দেশের অর্থনীতিতে চূড়ান্ত আঘাত হেনেছে। বেশ কয়েক মাসের লকডাউনের পর ছন্দে ফিরছে জনজীবন। ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিনও সামনে এসেছে। আগামীকাল থেকে দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ টিকাকরণ অভিযানের। একইসঙ্গে কেন্দ্রের তিন বিতর্কিত কৃষি আইন নিয়ে দেশজুড়ে কৃষক সংগঠনগুলির বিক্ষোভ চলছে। মাসাধিককাল দিল্লির প্রবেশ পথগুলিতে বসে আন্দোলন চালাচ্ছেন কৃষকরা।


এরই পরিপ্রেক্ষিতে জনমত সমীক্ষায় জানতে চাওয়া হয়েছিল-




  •  করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পারফরম্যান্স কেমন?


এই প্রশ্নের জবাবে ‘ভালো’ বলেছেন উত্তরদাতাদের ৫১ শতাংশ। ‘খারাপ’ বলেছেন ৩২ শতাংশ। ১৭ শতাংশ জানিয়েছেন ‘বলতে পারব না’।


অর্থাৎ করোনার টিকা নিয়ে কেন্দ্রে কাজে সন্তুষ্ট উত্তরদাতাদের ৫০ শতাংশের বেশি।


প্রশ্ন রাখা হয়েছিল-




  • কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের জেরে কেন্দ্রীয় সরকারের ভাবমূর্তি কি ধাক্কা খেয়েছে ?


জবাবে উত্তরদাতাদের ৫২ শতাংশই বলেছেন, ‘হ্যাঁ’। ৩৪ শতাংশ বলেছেন ‘না’। ‘বলতে পারব না’- বলেছেন ১৪ শতাংশ।


অর্থাৎ কৃষক আন্দোলন  নিয়ে মোদি সরকারের ভাবমূর্তি ধাক্কা খেয়েছে বলেই মনে করছেন বেশিরভাগ উত্তরদাতাই।


কিন্তু এত সবের পরিপ্রেক্ষিতেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি আস্থা কি হ্রাস পেয়েছে?


সমীক্ষায় প্রশ্ন রাখা হয়েছিল-




  • বর্তমানে দেশে প্রধানমন্ত্রী মোদির কোনও বিকল্প রয়েছে?


জবাবে ‘হ্যাঁ’ বলেছেন মাত্র ৩৫ শতাংশ। ‘না’ বলেছেন ৫০ শতাংশ। ‘বলতে পারব না’ বলেছেন ১৫ শতাংশ।


প্রশ্ন ছিল-




  •  ভবিষ্যতে কোন বিরোধী নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে টক্কর দিতে পারেন?


এর জবাবে ২৬ শতাংশ বলেছেন রাহুল গাঁধী, ২২ শতাংশ মনে করছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ৮ শতাংশ বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ৪৪ শতাংশই বলেছেন, এঁদের মধ্যে কেউ নন।




  • সি ভোটারের সমীক্ষায় প্রশ্ন করা হয়েছিল, এখনই ভোট হলে আপনার মতে জিতবে কে?


এর জবাবে ৫৮ শতাংশই বলেছেন এনডিএ, ২৮ শতাংশ বলেছেন ইউপিএ। তৃতীয় ফ্রন্ট বলেছেন ১৪ শতাংশ।


দেশের সমস্ত রাজ্যে ঘুরে ঘুরে সমীক্ষা চালিয়েছে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমীক্ষক সংস্থা সি ভোটার।দেশের ৫৪৩টি লোকসভা কেন্দ্রেই গেছেন সমীক্ষকরা।খুঁটিয়ে কথা বলেছেন ৩০ হাজারের বেশি ভোটারের সঙ্গে। দীর্ঘ ১২ সপ্তাহ ধরে চলেছে এই সমীক্ষা।


এই দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই সমীক্ষকরা তুলে এনেছেন খুঁটিনাটি তথ্য৷ পুরুষ, মহিলা, তরুণ, প্রবীণ, বিভিন্ন পেশার মানুষ--- সবার সঙ্গে কথা বলেছেন সমীক্ষকরা। যাতে সমাজের সব অংশের মানুষের ভাবনার প্রতিফলন এই সমীক্ষায় ফুটে ওঠে।