নয়াদিল্লি: নীরব মোদীর মতো আর্থিক অপরাধ করে দেশ থেকে পালানো লোকজনের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার উদ্দেশ্যে প্রস্তাবে সম্মতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার। এজন্য পলাতক অর্থনৈতিক অপরাধী অর্ডিন্যান্স চালু করার প্রস্তাবে মন্ত্রিসভার সবুজ সঙ্কেত মিলেছে আজ।
আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে হওয়া ক্যাবিনেট বৈঠকে অর্ডিন্যান্সটি ছাড়পত্র পেয়েছে। রাষ্ট্রপতির সম্মতি পেলেই সেটি কার্যকর হবে।
প্রসঙ্গত, পলাতক অর্থনৈতিক অপরাধী বিলটি লোকসভায় গত ১২ মার্চ পেশ হলেও নানা কারণে সংসদে অচলাবস্থা থাকায় পাস করানো যায়নি। বিলের উদ্দেশ্য ফৌজদারি বিচার প্রক্রিয়ার মুখোমুখি না হতে নীরবের মতো আইন, বিচার ব্যবস্থার চোখে ধুলো দিয়ে দেশ থেকে চম্পট দেওয়া লোকজনের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা।
অর্ডিন্যান্সের ধারাগুলি কার্যকর হবে দেশে ফিরতে নারাজ আর্থিক অপরাধী, বিধিবদ্ধ অপরাধের জন্য যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, এমন লোকজন ও ইচ্ছাকৃত ভাবে ১০০ কোটি টাকার ওপর বকেয়া থাকা ব্যাঙ্কঋণ খেলাপকারী লোকজনের ক্ষেত্রে। দোষী সাব্যস্ত না হলেও এ ধরনের লোকজনের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা ও তা বেচে দিয়ে পাওয়া অর্থে ঋণদাতাদের প্রাপ্য শোধ করার সংস্থান রয়েছে অর্ডিন্যান্সে।
এমন আর্থিক অপরাধীদের বিচার হবে  বেআইনি আর্থিক লেনদেন রোধ আইনে। অর্ডিন্যান্সে পলাতক আর্থিক অপরাধী বলতে এমন ব্যক্তিকে বোঝানো হয়েছে, যার বিরুদ্ধে সরকারি মুদ্রা বা স্ট্যাম্প জাল করা, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় চেক বাউন্স করা, বেআইনি অর্থ আদানপ্রদানের মতো অপরাধের জন্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, যিনি বিচার এড়ানোর জন্য দেশ থেকে পালিয়েছেন, ফিরতে অস্বীকার করেছেন।
অর্ডিন্যান্স অনুসারে, কাউকে পলাতক আর্থিক অপরাধী ঘোষণা করতে বিশেষ আদালতের কাছে আবেদন পেশ করতে পারেন বেআইনি আর্থিক লেনদেন রোধ আইনের আওতায় নিযুক্ত একজন ডিরেক্টর বা ডেপুটি ডিরেক্টর।


আবেজনে সেই ব্যক্তির গতিবিধি, অপরাধের মাধ্যমে অর্জিত বলে ধার্য হওয়া যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে চাওয়া হচ্ছে, তার তালিকা, যে বেনামি বা বিদেশে থাকা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে চাওয়া হচ্ছে, তার তালিকাও দিতে হবে। সেইসঙ্গে সেই সম্পত্তির যারা ভাগ চাইতে পারে, তাদের তালিকা পেশ করতে হবে।
আবেদন পাওযার পর বিশেষ আদালত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নোটিস দিয়ে ৬ সপ্তাহের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট দিনে হাজিরা দিতে বলবে।