নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বৃহস্পতিবার আর্থিক অপরাধে জড়িত লোকজনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার লক্ষ্যে একটি বিল অনুমোদন করল। পিএনবি জালিয়াতিতে অভিযুক্ত হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদীর মতো যাদের বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে, যারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, বিচারের মুখোমুখি হতে ফিরছে না, তাদের কড়া শাস্তির বিধি রয়েছে বিলে। পলাতক আর্থিক অপরাধী বিলটি আনা হয়েছে নীরবের মতো লোকজনের দেশ থেকে পালানো ঠেকাতে। তাতে বলা হয়েছে, যেসব মামলায় আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্তরা দেশ থেকে চম্পট দিয়েছে, দোষী সাব্যস্ত না হলেও তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে।
সরকারি সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ছাড়পত্র পাওয়া বিলটি ৫ মার্চ শুরু হতে চলা সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে পেশ হতে পারে।
বিলের ধারাগুলি প্রযোজ্য হবে দেশে ফিরতে রাজি না হওয়া অভিযুক্তদের বেলায়। যাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি হয়েছে নির্দিষ্ট অপরাধের অভিযোগে, যারা স্বেচ্ছায় ব্যাঙ্কের ঋণ নিয়ে খেলাপ করেছে, ১০০ কোটি টাকার ওপর ঋণ বকেয়া রেখেছে, তারা এই বিলের আওতায় পড়বে। বিলের বক্তব্য, বিচারে দোষী সাব্যস্ত না হলেও এদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে, সেই সম্পত্তি বেচে দিয়ে পাওয়া অর্থে ঋণদাতাদের প্রাপ্য মিটিয়ে দেওয়া হবে। এহেন অর্থনৈতিক অপরাধীদের বিচার করা হবে বেআইনি আর্থিক লেনদেন রোধ আইনে।
এদিন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি জানান, সুনির্দিষ্ট অপরাধের ক্ষেত্রে পরোয়ানা জারি হলেও গ্রেফতারি এড়াতে কেউ দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলে আদালত তাকে পলাতক ঘোষণা করতে পারে। শুধু অপরাধ থেকে অর্জিত সম্পদই নয়, পলাতক ব্যক্তির যাবতীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হবে। সংশ্লিষ্ট অভিযুক্ত ব্যক্তি কোনও দেওয়ানি মামলা করতে পারবে না এর বিরুদ্ধে।
তিনি আরও জানান, বিচার এড়াতে দেশ ছেড়ে চম্পট দেওয়া লোকজনের নতুন ও পুরানো সব মামলাই নতুন বিলের আওতায় আসবে।