২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ যে রাজ্যগুলির উপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন, সেগুলির অন্যতম ওড়িশা। এই রাজ্য থেকে ধর্মেন্দ্র প্রধানকে পূর্ণমন্ত্রী করেছেন মোদী। তিনি গরিবদের বিনামূল্যে রান্নার গ্যাসের সংযোগ দেওয়ার বিষয়টি প্রচার করে ওড়িশার প্রথমসারির বিজেপি নেতা হয়ে উঠেছেন। লোকসভা নির্বাচন এবং ওড়িশায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে ধর্মেন্দ্রকে মন্ত্রী করে দলীয় নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করছেন মোদী।
নির্মলা সীতারমন একদিকে যেমন রাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে পূর্ণমন্ত্রী হয়েছেন, তেমনই তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রকের গুরুদায়িত্বও পেয়েছেন। তাঁর এই পদোন্নতি দক্ষিণ ভারতে চর্চার বিষয় হবে। মুখতার আব্বাস নকভি এবং প্রাক্তন আইএএস অফিসার অ্যালফন্স কান্ননথানমকে মন্ত্রী করে সংখ্যালঘুদের কাছে টানতে চাইছেন মোদী। কেরলে দলকে শক্তিশালী করার চেষ্টায় রয়েছে বিজেপি। সেই কারণেই খ্রিস্টানদের সমর্থন আদায় করার লক্ষ্যে অ্যালফন্সকে মন্ত্রী করা হয়েছে।
মন্ত্রিসভায় নতুন ৯ মুখের মধ্যে তিনজন ব্রাহ্মণ হলেন শিবপ্রতাপ শুক্ল, অশ্বিনী কুমার চৌবে ও অনন্ত কুমার হেগড়ে। দু জন রাজপুত আর কে সিংহ ও গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত। জাঠ প্রতিনিধি হিসেবে আছেন সত্যপাল সিংহ এবং দলিত বীরেন্দ্র কুমার। শিখ সম্প্রদায়ের সদস্য হিসেবে আছেন হরদীপ পুরী এবং খ্রিস্টান অ্যালফন্স।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে শিবপ্রতাপের সম্পর্ক বিশেষ ভাল নয়। তাই তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করে ব্রাহ্মণদের সন্তুষ্ট রাখতে চাইছেন মোদী। অশ্বিনীর সঙ্গে আরএসএস নেতাদের সম্পর্ক ভাল, তবে সুশীল কুমার মোদীর বিরোধী হিসেবেই পরিচিত তিনি। সেই কারণেই তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী।