নয়াদিল্লি:  দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডমিশন সংক্রান্ত হেল্পডেস্কে উত্সাহী পড়ুয়া ফোন করে জানতে চাইলেন, বলিউড বাদশা শাহরুখ খান যেখানে পড়াশোনা করেছিলেন, সেখানে পড়ার সুযোগ পাবে সে? প্রসঙ্গত, শাহরুখও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত একটি কলেজে পড়াশোনা করেছেন।


আবার আর এক পড়ুয়ার দাবি, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় হেল্পডেস্ক যদি তাকে কাটঅফ নম্বরটা হোয়াটসঅ্যাপ করে দেয়।

এমনই নানা আবদার শুনে কার্যত হতবাক দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডমিশনের হেল্পডেস্কে থাকা কর্মীরা। যেহেতু আজই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাডমিশনের শেষ তারিখ, সেইজন্যে পড়ুয়াদের সাহায্য করার জন্যে এই ডেস্ক খোলা হয়। প্রতিদিন এই ডেস্কে প্রায় ছ হাজার ফোন আসছে। তবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পড়ুয়া এবং তাঁদের বাবা-মায়েদের এই অদ্ভূত কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে ডেস্কের কর্মীরা কার্যত ক্লান্ত।

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের এই হেল্পলাইন নম্বরে ১২ জন মোট কর্মী কাজ করছেন। তাঁরা দিনে পাঁচশো ফোন ধরেন। অনেক সময় একসঙ্গে ১১ জনের প্রশ্নেরও একসঙ্গে উত্তর দেন এই কর্মীরা। এঁরা প্রত্যেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে নতুন পড়ুয়াদের সাহায্য করার জন্যে। এরজন্যে তাঁরা দিনে ২৯০ টাকা করে স্টাইপেনড পান।