নয়াদিল্লি: ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ দেশে কি সরকারি জমি বা সম্পত্তিতে ধর্মীয় কার্যকলাপের অনুমতি দেওয়ায় যায়? সুপ্রিম কোর্টে জ্যোতি জাগরণ মণ্ডল নামে একটি সংগঠনের আর্জির পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রশ্ন উঠে গেল। বিচারপতি আর এফ নরিম্যান ও বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রর বেঞ্চ এই প্রশ্ন পাঠিয়ে দিয়েছে প্রধান বিচারপতির কাছে। উত্তর খোঁজার জন্য একটি বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।


ওই সংস্থাটির পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনে বলা হয়, নয়াদিল্লির মায়াপুরীর লাজবন্তী অঞ্চলের চঞ্চল পার্কে জাগরণ, মাতা কি চৌকির মতো ধর্মীয় অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয় জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনাল (এনজিটি)। কিন্তু পরে সেই অনুমতি বাতিল করে দেওয়া হয়। শুনানির সময় বিচারপতিরা বলেন, ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ একটি দেশে সরকারি জায়গায় ধর্মীয় কার্যকলাপের অনুমতি দেওয়া যাবে কি না, সেটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এ বিষয়ে বৃহত্তর বেঞ্চকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

এর আগে এ বছরের মে মাসে পরিবেশ সংক্রান্ত কারণ দেখিয়ে চঞ্চল পার্কে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের অনুমতি বাতিল করে দেয় এনজিটি। কার্যনির্বাহী চেয়ারপার্সন জাওয়াদ রহিম বলেন, স্থানীয় লোকজনের সুবিধার জন্য ওই জনস্থানটি নির্দিষ্ট করা হয়েছে। তাই সেখানে কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া যাবে না। জ্যোতি জাগরণ মণ্ডলের পাল্টা দাবি, ২০১৭-র অক্টোবরে ওই পার্কেই দুর্গাপূজার সময় রামলীলার অনুমতি দেয় এনজিটি। তাই এবারও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া উচিত।