এনএসজি-র অন্য সদস্য দেশগুলির সমস্যা না থাকা সত্ত্বেও শুধু চিনা আপত্তিতেই গতবার ভারতের সদস্যপদ ভেস্তে যায়। চিনের নাম না করেও ভারত অভিযোগ করেছে, একটি দেশের আপত্তিতেই এনএসজি সদস্যপদ পাচ্ছে না তারা। তবে আলোচনার মাধ্যমে যাবতীয় দ্বিপাক্ষিক সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ায় সহমত হয়েছে দুই দেশ।
শনিবার ব্রিকস সমাবেশের ফাঁকে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তাঁদের মধ্যে ভারতের এনএসজি সদস্যপদ সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মোদী ট্যুইট করে বলেছেন, চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর বৈঠক ফলদায়ক হয়েছে। তাঁরা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ বলেছেন, ভারতের আপত্তির বিষয়গুলি চিন জানে। এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, কোনও দেশই সন্ত্রাসের বিপদ থেকে মুক্ত নয়। তাই সন্ত্রাস দমনে ভারত ও চিনের সহযোগিতা বাড়ানো দরকার। মাসুদ আজহারের উপর রাষ্ট্রসংঘের নিষেধাজ্ঞা জারি করার বিষয়ে চিনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। চিনা প্রেসিডেন্টও সন্ত্রাসবাদের সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন। এছাড়া এনএসজি-তে ভারতের জায়গা পাওয়া নিয়েও এই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে দু দেশ ফের আলোচনায় বসবে বলে জানিয়েছেন জিনপিং।
মোদী ও জিনপিংয়ের এই বৈঠকের পর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে চিনের ইয়াং জিয়েচির বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে। সেই বৈঠকে সন্ত্রাস দমন এবং মাসুদ আজহার প্রসঙ্গে আলোচনা হবে।