নয়াদিল্লি: ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নামে তিন হাজার গাছ কেটে ফেলা যায় না। উত্তরপ্রদেশ সরকারের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
জেলায় ভগবান শ্রী কৃষ্ণের মন্দিরের সামনের রাস্তা ২৫ কিলোমিটার চওড়া করতে চায় উত্তরপ্রদেশ সরকার। ২৯৪০টি গাছ কেটে ফেলার অনুমতি চেয়ে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল যোগী আদিত্যনাথ সরকার। সেজন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ রাজ্য সরকার ১৩৮.৪১ কোটি টাকা দিতেও রাজি ছিল।
কিন্তু দেশের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে উত্তরপ্রদেশের পূর্ত বিভাগকে বলেছেন, ‘‘কৃষ্ণের নামে হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলা যায় না।’’
গাছ কেটে ফেলার বিনিময়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে নতুন করে বৃক্ষরোপণ করা হবে বলেও জানিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। কিন্তু সেই সাফাই তুষ্ট করতে পারেনি দেশের শীর্ষ আদালতকে।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, একশো বছরের পুরনো গাছ কেটে ফেলার উপযোগিতার সঙ্গে চারা রোপনের উপযোগিতা কখনও সমান হতে পারে। এই সব পুরনো গাছের অক্সিজেন নিঃসরণ ক্ষমতাও অনেক বেশি।
মন্দিরে যাওয়ার রাস্তা চওড়া করার ক্ষেত্রে আরও মসৃণভাবে যানবাহন চলাচলের কথাও সর্বোচ্চ আদালতে জানিয়েছিল যোগী সরকার। সরকারের যুক্তি ছিল, গাছ কেটে রাস্তা চওড়া করা গেলে যানবাহন চলাচল আরও গতিশীল হবে।
কিন্তু সে যুক্তি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ বলেছে, ‘‘যানবাহনের গতি কম থাকলে, তা দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কমায়, জীবন আরও বেশি নিরাপদ থাকে।’’
গাছ না কেটে বিকল্প উপায় বার করতে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে চার সপ্তাহ সময় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।