নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার দিল্লি বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন ডেকে লাইভ ডেমস্ট্রেশন করে আপ সরাসরি প্রমাণ করে দেখানোর চেষ্টা করল যে, ইভিএম যন্ত্রে কারসাজি করে ভোটের ফল এদিকওদিক করা সম্ভব। আপের বিধায়ক সৌরভ ভরদ্বাজের দাবি, এমন একটি গোপন কোড আছে যা কেউ ভোট দেওয়ার সময়ই ইভিএমে ঢুকিয়ে দিতে পারেন, তাহলেই ভোটযন্ত্র বিগড়ে যাবে। একটি ইভিএম মেশিনে নিজে একটি গোপন কোড ঢুকিয়ে তিনি আপের পক্ষে ১০টি ভোট দেন, দেখা যায়, সব ভোট পড়েছে বিজেপির ঘরে। আপের দাবি, প্রোটোটাইপ ইভিএমে পরীক্ষা চালিয়েছেন সৌরভ, যিনি নিজে ইঞ্জিনিয়ার। ওই ইভিএম তৈরি করেছেন আইআইটি-র একদল বিশেষজ্ঞ। সৌরভের বক্তব্য, ইভিএম নিয়ে ভিত্তিহীন কথা বলছি না আমরা। ইভিএম হ্যাক করা সম্ভব, সেটাই দেখালাম। এটা খুবই সিরিয়াস ব্যাপার। দেশের গণতন্ত্রের সামনে বিপদ। এমন কোনও মেশিন নেই যা হ্যাক করা যায় না।


যদিও নির্বাচন কমিশন সৌরভের দাবি খারিজ করে দিয়েছে। তাদের পাল্টা দাবি, যে যন্ত্রে পরীক্ষাটি করা হয়েছে, সেটি কমিশন অনুমোদিত ইভিএমের মতো দেখতে বটে, কিন্তু সেই একই যন্ত্র নয়। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, এটা জানা কথা যে, কমিশনের ব্যবহার করা ভোটযন্ত্র বাদে অন্য যে কোনও যন্ত্রকে পূর্বনির্ধারিত পদ্ধতি অনুসারে ব্যবহার করা যায়। কিন্তু কমিশন অনুমোদিত ভোটযন্ত্র টেকনিকের দিক থেকে পুরোপুরি সুরক্ষিত, একটি ব্যাপক প্রশাসনিক, নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিধি মেনে তা ব্যবহার করা হয়। ভিন্ন ডুল্পিকেট যন্ত্রের মাধ্যমে তথাকথিত যে প্রদর্শনী হয়েছে, তা দিয়ে দেশবাসীকে প্রভাবিত করা যাবে না, কমিশনের ব্যবহার করা ভোটযন্ত্র সম্পর্কে তাদের ভুল বোঝানোও যাবে না।

যদিও এরপরও অরবিন্দ কেজরীবালের দাবি, কমিশন যে কোনও ইভিএম যন্ত্র দিক, তাঁরা ৯০ সেকেন্ডের মধ্যে সেই যন্ত্র বিগড়ে দিতে পারবেন।

বিজেপি অবশ্য বলছে, কেজরীবালের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ থেকে নজর ঘোরাতেই আপ এহেন 'ছলনা'র আশ্রয় নিয়েছে।