আমদাবাদ: যোধপুরের আদালত কিশোরী ধর্ষণে আসারাম বাপুকে দোষী সাব্যস্ত করলেও বিতর্কিত গডম্যানের পক্ষে মুখ খুলে গুজরাতের প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ডি জি বানজারার দাবি, মেয়েটিকে আদৌ কখনও ধর্ষণই করা হয়নি! বড় জোর বলা যায়, তাকে অশালীন ভাবে স্পর্শ করা হয়েছিল।
এ জাতীয় মামলার মাধ্যমে আসারামের মতো 'সন্তদের' ভাবমূর্তি নষ্ট করা দেশ, হিন্দুদের বা সনাতন ধর্মের স্বার্থের অনুকূল নয় বলেও অভিমত জানিয়েছেন তিনি।
আমদাবাদের মোতেরা এলাকায় আসারামের আশ্রমের বাইরে সাংবাদিকদের বানজারা বলেন, আসারামের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া পুরো মামলার উদ্দেশ্যই ছিল তাঁর মতো ধর্মগুরুদের ইমেজে কালি মাখানো। মামলার এফআইআর, চার্জশিট দেখুন। কোথাও ধর্ষণের উল্লেখই নেই। বিচারপর্বেও নিগৃহীতা কখনও আসারাম তাকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করেনি। এফআইআর অনুসারে তাকে শুধু অশালীন ভাবে স্পর্শ করা হয়েছে। এমনকী নিগৃহীতার মেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্টেও তার সতীত্ব অটুট বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
আসারামকে মিডিয়ার 'ধর্ষণকারী' লেবেল দেওয়ার আপত্তি করে বানজারা বলেছেন, গডম্যানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাটি শুধু ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারা সংক্রান্ত, যা একজন মহিলার সম্ভ্রমহানির ব্যাপারে, ধর্ষণের বিষয়ে নয়।
তিনি বলেন, দেশবাসীকে বলতে চাই, এই মামলা একেবারেই ধর্ষণের ব্যাপারে নয়। আমি নিশ্চিত, উচ্চতর আদালতে আবেদন করলে আসারাম সব অভিযোগ থেকে মুক্তি পাবেন।
প্রসঙ্গত, সোহরাবুদ্দিন শেখ, তুলসি প্রজাপতি, ইশরাত জাহানের ভুয়ো সংঘর্ষে হত্যার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় বানজারাকে অভিযুক্ত করেছিল সিবিআই। তিনজনকেই গুজরাত পুলিশ ২০০৪, ২০০৫ ও ২০০৬-এ আলাদা ঘটনায় গুজরাত পুলিশ বেআইনি ভাবে হত্যা করেছিল বলে দাবি করা হয়। সোহরাবুদ্দিন ও প্রজাপতি এনকাউন্টার মামলায় বানজারা রেহাই পেলেও ইশরাত মামলায় অভিযোগমুক্ত হননি। ২০০৭ সালে তাঁকে গ্রেফতার করে গুজরাত সিআইডি। ৮ বছর তিনি জেলে কাটান। কারাবাসে থাকা অবস্থায় চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার এক বছর বাদে ২০১৫-র ফেব্রুয়ারিতে জামিন পান তিনি।