নয়াদিল্লি: এটিএমে টাকা নেই। ব্যাঙ্কেও হাত তুলে দিয়েছেন কর্মীরা। দেশের অন্তত ৭ রাজ্যে এভাবেই আচমকা অর্থ সঙ্কট শুরু হয়েছে। এই তালিকায় বিহারের মত ‘পিছিয়ে পড়া’ রাজ্যের নাম যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে গুজরাতের মত ‘সমৃদ্ধ’ রাজ্য। মানুষের আরও একবার মনে পড়ে যাচ্ছে নোটবাতিলের সময়কার দিশেহারা অবস্থার কথা।

বিহার, গুজরাত ছাড়া অন্য ৫ টি রাজ্য হল মহারাষ্ট্র, অন্ধ্র প্রদেশ, তেলঙ্গানা, উত্তর প্রদেশ ও মধ্য প্রদেশ। ৪ টি রাজ্যেই ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। টাকার জন্য এটিএমে ঘুরে ঘুরে হয়রান হয়ে যাচ্ছেন মানুষ। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন, বাজারে প্রয়োজনের থেকে বেশি নগদ রয়েছে, কিছু রাজ্যে যে অর্থাভাব দেখা দিয়েছে, তা একেবারেই সাময়িক । এই সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে। টুইট করে জেটলি বলেছেন, পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তিনি দেখেছেন, অর্থের চাহিদা আচমকা অস্বাভাবিকহারে বেড়ে যাওয়ায় কয়েকটি রাজ্যে এই অর্থাভাব। তবে দ্রুত মেটানো হচ্ছে সমস্যা।




রিজার্ভ ব্যাঙ্কও জানিয়েছে, এই অসুবিধে সাময়িক, সামনে উৎসব থাকায় ব্যাঙ্কের ভাঁড়ারে আপাতত নগদ কম, তবে সমস্যা শিগগিরই মিটে যাবে। ২-১ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে দাবি করেছে তারা।

নগদের সঙ্কট নিয়ে আলোচনা করতে আজ বৈঠক ডেকেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় নগদ টাকা মিলছে না। শোনা যাচ্ছে, এ নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে চিঠি লিখতে পারেন তিনি।

মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান অবশ্য গোটা ঘটনায় ষড়যন্ত্র দেখছেন। কৃষকদের এক সভায় তিনি বলেছেন, ষড়যন্ত্র করে ২,০০০ টাকার নোট গায়েব করে দেওয়া হচ্ছে।

তবে সমস্যা সব থেকে বেশি বিহারে। টাকার অভাবে ফাঁকা পড়ে রয়েছে বহু এটিএম। এমনকী রাজ্যের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা রাজভবন, যেখানে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী থাকেন, সেখানেও এটিএমে টাকা নেই। শুধু বেসরকারি নয়, সরকারি ব্যাঙ্কগুলিরও একই অবস্থা। গুজরাতেও অর্থ সমস্যার কথা বলছেন স্থানীয় মানুষ।

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হওয়ার আশ্বাস দিলেও বিরোধীরা অবশ্য বলছে, নোটবাতিলের পর এই অর্থ সঙ্কট সবথেকে বড় কেলেঙ্কারি। লালুপ্রসাদ যাদবের ছেলে তেজস্বী দাবি করেছেন, গোটা ঘটনার তদন্ত করতে হবে। তদন্ত হলে বহু নামী দামী মুখ ফেঁসে যাবেন বলে তাঁর দাবি।