কলকাতা: দেশের চার ছাপাখানায় পুরোদমে নতুন টাকা ছাপার কাজ চললেও নোট সঙ্কট আরও চার-পাঁচ মাস চলবে। এহেন আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন ব্যাঙ্ক কর্মচারী ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া (বেফি)-র সাধারণ সম্পাদক পি কে বিশ্বাস।  তিনি বলেছেন, চারটি টাঁকশালে তাদের সর্বোচ্চ ক্ষমতা অনুযায়ী টাকা ছাপা হলেও নগদ নোটের ঘাটতি চলবেই। নগদ নোটের সরবরাহ স্বাভাবিক হতে চার-পাঁচ মাস লাগবে। ফলে  আগামী মাসেই এটিএম, ব্যাঙ্ক থেকে বেতনের টাকা তুলতে গিয়ে চাকুরে লোকজন প্রবল সমস্যায় পড়বেন বলেও জানিয়েছে  সংগঠনটি।


সংগঠনটি জানিয়েছে, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত দেশে বাতিল হওয়া ৫০০ টাকার ১৫৭০ কোটি ৭০ লক্ষ নোট ও ১০০০ টাকার ৬৩২ কোটি ৬০ লক্ষ নোট চালু ছিল। তারা এও জানিয়েছে, এ রাজ্যে শালবনীর টাঁকশালে নতুন নোট ছাপানোর কালি, ডাইস পৌঁছে গেলেও কবে থেকে ছাপা শুরু হবে, তা জানা যায়নি।

এর মধ্যেই ৫০০, ১০০০-এর নোট বাতিল হওয়ার পর নতুন নোটের আকাল চলায় এক শ্রেণির গ্রাহক কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের শাখায় ব্যাঙ্কের সম্পত্তি ভাঙচুর করে পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন ব্যাঙ্ক কর্মী ইউনিয়নের ওই নেতা।