নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে চিঠি লিখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামে নালিশ কংগ্রেস নেতাদের। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের নেতৃত্বে তাঁরা অভিযোগ করেছেন, কর্নাটক বিধানসভা ভোটের প্রচারে তাঁদের বিরুদ্ধে হুমকি, ভয় দেখানোর ভাষা ব্যবহার করেছেন মোদী, যার নিন্দা হওয়া উচিত, কারণ প্রধানমন্ত্রী পদে বসে থাকা একজনের মুখে এমন ভাষা সঙ্গত নয়।
তাঁরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে কংগ্রেস বা যে কোনও দল বা কারও বিরুদ্ধে এমন অবাঞ্ছিত, ভীতি প্রদর্শনের, হুমকি দেওয়ার ভাষা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে বলে সাবধান করে দিতে পারেন, কারণ তা প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা কাউকে মানায় না।
চিঠিতে সই করেছেন মনমোহন সিংহ, এ কে অ্যান্টনি, গুলাম নবি আজাদ, আহমেদ পটেল, পি চিদম্বরম, অশোক গেহলট, মল্লিকার্জুন খাড়গে, করণ সিংহ, অম্বিকা সোনি, কমল নাথ, আনন্দ শর্মা, মোতিলাল ভোরা, দিগ্বিজয় সিংহ, মুকুল ওয়াসনিক।
তাঁদের দাবি, গত ৬ মে কর্নাটকের হুবলির জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এই বলে হুমকি দেন, কংগ্রেস নেতারা মন দিয়ে শুনে রাখুন, এটা নরেন্দ্র মোদী, সীমা ছাড়াবেন না, তাহলে কিন্তু মূল্য দিতে হবে। মোদীর সেই ভাষণের ভিডিওর ইউটিউব লিঙ্কও সঙ্গে দেন তাঁরা।
ভোটের প্রচারের সময়ও একজন প্রধানমন্ত্রীর মুখে এ ধরনের ভাষা প্রত্যাশিত নয় বলে অভিমত কংগ্রেস নেতাদের। তাঁদের চিঠিতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক রোষ, ব্যক্তিগত বিদ্বেষ মেটাতে নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রধানমন্ত্রী পদের গরিমার পরিপন্থী। সংবিধানে প্রধানমন্ত্রী পদের একটা বিশেষ স্থান আছে, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অতীতে ভারতের সব প্রধানমন্ত্রীই সরকারি বা বেসরকারি দায়িত্ব পালনের সময় গভীর মর্যাদা, শিষ্ঠাচারের পরিচয় দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেছেন তাঁরা। বলেছেন, জাতীয় কংগ্রেস নেতৃত্বকে প্রধানমন্ত্রীর হুমকির নিন্দা হওয়া উচিত। এটা ১৩০ কোটি মানুষের সংবিধান স্বীকৃত গণতান্ত্রিক দেশের একজন প্রধানমন্ত্রীর ভাষা হতে পারে না। প্রকাশ্যে বা গোপনে, যেখানেই হোক, এ ধরনের বাক্য অগ্রহণযোগ্য আচরণ। যে শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, তা ভয়ঙ্কর, ভীতি প্রদানকারী। উদ্দেশ্যই ছিল অপমান করা, শান্তি নষ্টে প্ররোচনা দেওয়া। তবে কংগ্রেস দেশের সবচেয়ে প্রাচীন দল, অনেক চ্যালেঞ্জ, হুমকির সম্মুখীন হয়েছে, তার নেতারা নির্ভীক ভাবে, সাহসের সঙ্গে এর মোকাবিলা করেছেন। এ ধরনের হুমকিতে দল বা আমাদের নেতাদের ভয় দেখানো যাবে না।