নয়াদিল্লি : কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও  দিল্লির কেজরীবাল সরকারের  বিরোধে নয়া মাত্রা। ৫০ কোটি টাকার দুর্নীতি মামলায়  দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি রাজেন্দ্র কুমারকে গ্রেফতার করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে দাবি, পদের অপব্যবহার করে একাধিক বেসরকারি সংস্থাকে সরকারি বরাত পাইয়ে দেন রাজেন্দ্র কুমার। ডাকা হয়নি কোনও টেন্ডার। এর ফলে সরকারের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
এদিন সকালে দিল্লিতে সিবিআইয়ের হেড কোয়ার্টারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়  কুমারকে। তাঁর সঙ্গে কেজরীবালের অফিসের ডেপুটি সেক্রেটারি তরুণ শর্মা সহ আরও তিনজনকে তলব করা হয়। দিনভর জেরার পর কুমার ও তরুণ শর্মাকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেয় সিবিআই। সেই সঙ্গে কুমারের ঘনিষ্ঠ অশোক কুমার এবং একটি বেসরকারি সংস্থার মালিক সন্দীপ কুমার ও দীনেশ গুপ্তাকেও গ্রেফতার করা হয়।
দিল্লিতে গণভোট করানোর দাবি থেকে বিল ফেরানোর অভিযোগ। বিভিন্ন ইস্যুতে কেজরীবাল ও মোদী সরকারের মধ্যে সংঘাতের আবহটা ছিলই। এবার কেজরীবালের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির এই গ্রেফতারি নয়া হাতিয়ার তুলে দিয়েছে আম আদমি পার্টির হাতে। এদিন ফের মোদী সরকারকে নিশানা করেছে তারা। আম আদমি পার্টির অভিযোগ, দিল্লি সরকারকে দুর্বল করতে লাগাতার প্রতিহিংসামূলক আচরণ করা হচ্ছে। দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া বলেছেন, এটা একেবারেই নজিরবিহীন ঘটনা।
তিনি বলেছেন, এর আগে কেন্দ্রের কোনও সরকার এতটা নিচে নামেনি। অফিসারদের বদলি করে, বিভিন্ন জনকে গ্রেফতার করে আম আদমি পার্টি সরকারকে পঙ্গু করার চেষ্টা করছে কেন্দ্র।
যদিও দুর্নীতি ইস্যুতে আম আদমি পার্টিকেই পাল্টা বিঁধেছে বিজেপি। তাদের দাবি, আম আদমি পার্টির বিধায়করা দুর্নীতিগ্রস্ত।
প্রতিহিংসার তত্ব খারিজ করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থারও পাল্টা দাবি, দুর্নীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি। টেন্ডার ছাড়া বরাত পাইয়ে দিতে একাধিক সংস্থা তৈরি করেছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত বছরের পনেরোই ডিসেম্বরও শিরোনামে এসেছিল এই রাজেন্দ্র কুমারের নাম। বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল, তাঁর অফিসে সিবিআইয়ের তল্লাশি ঘিরে। রাজেন্দ্রর পাশে দাঁড়িয়ে সেইসময় কেজরীবালল অভিযোগ তুলেছিলেন, তাঁর অফিসেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়েছিল দেশ।