চার্জশিটে নাম রয়েছে, লোকসভার দুই তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাপস পালের।
সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে নাম রয়েছে গৌতম কুণ্ডু এবং রোজভ্যালির একটি সংস্থার।
চার্জশিট পেশের জন্য এদিন সকালেই, কলকাতা থেকে ভুবনেশ্বরের খুর্দা রোড আদালতে যান রোজভ্যালিকাণ্ডের তদন্তকারী অফিসার ও সিবিআইয়ের আইনজীবী।
সিবিআই সূত্রে দাবি, এই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে,সুদীপ-তাপস-গৌতমের বিরুদ্ধে যে সব ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে, সেগুলি হল....
- পাবলিক সারভেন্ট দ্বারা অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ। জামিন অযোগ্য এই ধারায় ১০ বছর অথবা যাবজ্জীবন সাজার সংস্থান রয়েছে।
- ‘সম্পত্তি হস্তান্তরে প্রতারণা’র যে ধারা দেওয়া হয়েছে, তাতে সর্বোচ্চ ৭ বছর কারাবাস ও জরিমানার সংস্থান রয়েছে।
- তাৎপর্যপূর্ণভাবে চিটফান্ডকাণ্ডে এই প্রথম প্রয়োগ করা হয়েছে দুর্নীতি দমন আইনের দুটি ধারা। যাতে ৪ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত শাস্তির সংস্থান রয়েছে।
রোজভ্যালিকাণ্ডে ১৯৭৮ সালের প্রাইজ চিটস অ্যান্ড মানি সার্কুলেশন স্কিমস ব্যানিং’ অ্যাক্টে মামলা রুজু করেছে সিবিআই। যে দুটি ধারা দেওয়া হয়েছে, সেখানে কম পক্ষে এক বছর সাজা এবং এক হাজার টাকা জরিমানার সংস্থান রয়েছে।
যদিও সারদাকাণ্ডের সময়ও দুর্নীতি দমন আইনে মামলা রুজু করেনি সিবিআই। সিবিআই সূত্রে দাবি,
দুই তৃণমূল সাংসদই নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে রোজভ্যালিকে নানা ভাবে সাহায্য করেছেন। বিনিময়ে নিয়েছেন অর্থ ও বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা। যাকে ঘুষ হিসেবেই দেখছেন তদন্তকারী!
যদিও তৃণমূল এখনও দাবি করছে, এসব বিজেপির রাজনৈতিক প্রতিহিংসারই অঙ্গ।
বিজেপি অবশ্য এই দাবি মানতে নারাজ। উল্টে দুর্নীতি ইস্যুকে সামনে রেখেই বারবার তৃণমূলকে নিশানা করছে তারা।
বিজেপি-তৃণমূল এই চাপানউতোরের মধ্যেই রোজভ্যালিকাণ্ডের সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে দুই তৃণমূল সাংসদের নাম রাখল সিবিআই।