নয়াদিল্লি: আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় গ্রেফতার হওয়া কার্তি চিদম্বরমের নার্কো অ্যানালিসিস টেস্টের অনুমতি চেয়ে বিশেষ সিবিআই আদালতে গেল সিবিআই। বিচারপতি সুনীল রানা জানিয়েছেন, তিনদিনের সিবিআই হেফাজতের পর শুক্রবার যখন কার্তিকে ফের আদালতে পেশ করা হবে, তখনই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


আদালত সূত্রে খবর, অর্থপাচারের মামলায় গ্রেফতার হওয়া কার্তির চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট এস ভাস্কররমন এবং এই মামলাতেই গ্রেফতার হওয়া ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়কে আদালতে পেশ করার পরোয়ানা জারি করার আবেদনও জানিয়েছে সিবিআই। শুক্রবার এই দু’টি আবেদনেরও শুনানি হবে।

ইংল্যান্ড থেকে ফেরার পর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি চেন্নাই বিমানবন্দরে গ্রেফতার হন কার্তি। গতকাল তাঁকে আরও তিনদিনের জন্য সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এরপরেই আজ নার্কো অ্যানালিসিস টেস্টের অনুমতি দেওয়ার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হল সিবিআই।

অন্যদিকে, আজই গুজরাত সরকার জানিয়ে দিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার চাইলে গাঁধীনগরের ফরেন্সিক সায়েন্সেস ল্যাবরেটরিতে কার্তির নার্কো অ্যানালিসিস টেস্ট করা যেতে পারে। বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে এই বিষয়টি উত্থাপন করেন বিজেপি বিধায়ক দুশ্যন্ত পটেল। তিনি রাজ্য সরকারের কাছ থেকে জানতে চান, গাঁধীনগরে কার্তির নার্কো অ্যানালিসিস টেস্ট করা যাবে কি না। জবাবে গুজরাতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদীপ সিংহ জাডেজা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকার বললেই রাজ্য সরকার কার্তির নার্কো অ্যানালিসিস টেস্ট করতে তৈরি।’

জাডেজার এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে কংগ্রেস বিধায়ক ধবল সিংহ জালা প্রশ্ন করেন, আশারাম বাপু, ললিত মোদী বা নীরব মোদীরও নার্কো অ্যানালিসিস টেস্ট করতে কি তৈরি গুজরাত সরকার? এই কংগ্রেস বিধায়ক একসময় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহেরও নাম করেন। তখন তাঁকে থামিয়ে দেন স্পিকার রাজেন্দ্র ত্রিবেদী। তিনি বলেন, কার্তি অভিযুক্ত হওয়ায় তাঁর বিষয়ে বিধানসভায় আলোচনা হতে পারে। কিন্তু যাঁরা অভিযুক্ত নন, তাঁদের বিষয়ে এখানে আলোচনা করা যাবে না।