নয়াদিল্লি: ২০০৮-এর এমব্রায়ের বিমান ক্রয় চুক্তিতে কিকব্যাক নেওয়ার অভিযোগে ইংল্যান্ডের এক অনাবাসী ভারতীয় অস্ত্র ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল সিবিআই। ইউপিএ সরকারের আমলে ব্রাজিলিয় কোম্পানি এমব্রায়েরের সঙ্গে তিনটি জেট ক্রয়ের চুক্তি হয়েছিল। এই কেনাবেচার ক্ষেত্রে ওই অনাবাসী ভারতীয়র বিরুদ্ধে ৫.৭০ মিলিয়ন ডলার কিকব্যাক নেওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ওই অনাবাসীর নাম আরও একটি প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কেনাবেচার চুক্তির বিষয়ে সিবিআইয়ের তদন্তে উঠে এসেছে। সিবিআইয়ের এফআইআর অনুযায়ী, ওই ব্যক্তি এমব্রায়ের চুক্তিতে ঘুষ নিয়েছিলেন এবং ঘুষের টাকা বন্টন করেছিলেন।
সিবিআই সূত্রের খবর, ২০০৯-এ এমব্রায়েরের একটি অধীনস্ত সংস্থার মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের একটি কোম্পানির হাত ঘুরে ওই কিকব্যাক দেওয়া হয়েছিল। সিঙ্গাপুরের ওই কোম্পানির মালিক অভিযুক্ত অনাবাসী ভারতীয়।
সূত্রের খবর, এই কেনাবেচার চুক্তির ক্ষেত্রে গত সেপ্টেম্বরে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছিল। এই চুক্তির ক্ষেত্রে দুর্নীতি সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ হাতে পাওয়ার পর এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই।
ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলাপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)-র এয়ার বোর্ন রাডার সিস্টেম ব্যবহারের জন্য তিনটি বিমান ক্রয়ের চুক্তি হয়েছিল এমব্রায়েরের সঙ্গে।
পরে ব্রাজিলের একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, সৌদি আরব ও ভারতের সঙ্গে চুক্তি করতে কোম্পানি মিডলম্যানের সাহায্য নিয়েছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা সামগ্রী ক্রয়ের নিয়ম অনুযায়ী, এ ধরনের চুক্তিতে মিডলম্যান থাকাটা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।


উল্লেখ্য, ২০১০ থেকেই মার্কিন বিচার বিভাগের তদন্ত চলছে ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে। ডোমিনিকান রিপাবলিকের সঙ্গে চুক্তি সংক্রান্ত সন্দেহের কারণে এই তদন্ত চলছে।তদন্তে আরও ১০ টি দেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এই চুক্তির জন্য ইংল্যান্ডের এক প্রবাসী ভারতীয়কে মিডলম্যানকে কোম্পানির কাজে লাগানো সংক্রান্ত রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে গত মাসেই কেন্দ্র সরকার সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল।
ডিআরডিও ২০০৮-এ এমব্রায়েরের কাছ থেকে তিনটি বিমান ক্রয় করেছিল। উদ্দেশ্য ছিল বায়ুসেনার জন্য দেশে প্রস্তুত রেডার সমন্বিত এয়ারবোর্ন আর্লি-ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেমের বন্দোবস্ত করা। প্রথম বিমানটি সরবরাহ করা হয়েছিস ২০১১-তে। বাকি দুটি এসেছিল ২০১৩-তে।