নয়াদিল্লি: গুরগাঁওয়ে জমি অধিগ্রহণে বেনিয়মের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই তল্লাশি হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিংহ হুডা, ইউপিএসসি-র এক সদস্যের বাসভবনের পাশাপাশি ১৮টি স্থানে। সিবিআই মুখপাত্র আর কে গৌড় বলেছেন, গুরগাঁওয়ের চাষিদের কাছ থেকে জমি কেনায় অনিয়মের অভিযোগের ব্যাপারে চলতি তদন্ত প্রক্রিয়ায় সিবিআই রোহতক, গুরগাঁও, পঞ্চকুল্লা ও দিল্লির ২০টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে। হুডার বাড়ি ছাড়াও সিবিআই হানা দিয়েছে তত্কালীন মুখ্য সচিব এম এল তায়াল, ইউপিএসসি সদস্য ছাত্তার সিংহ ও কর্মরত আমলা এসএস ধিল্লোঁর বাসভবনে।

জানা গিয়েছে, সরকার জমি অধিগ্রহণ করে নেবে বলে ভয় দেখিয়ে গুরগাঁওয়ের মানেসর, নৌরঙ্গপুর ও লাখনৌলা গ্রামের চাষি, জমি মালিকদের কাছ থেকে ২০০৪ থেকে ২০০৭-এর মধ্যে জলের দরে প্রায় ৪০০ একর জমি কিনে নেয় বেসরকারি  বিল্ডাররা। এ কাজে তাদের সঙ্গে হাত মেলায় হরিয়ানা সরকারের কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় অফিসার, কর্মী। এমন অভিযোগের ভিত্তিতেই গত বছরের সেপ্টেম্বরে মামলা দায়ের করে সিবিআই।

অভিযোগ, এই জমি লেনদেনের প্রক্রিয়ায় হরিয়ানা সরকারই জমি অধিগ্রহণ আইনে গুরগাঁওয়ের ওই গ্রামগুলিতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল মডেল টাউনশিপ গড়ার জন্য প্রায় ৯১২ একর জমি অধিগ্রহণের বিজ্ঞপ্তি দেয়। তারপরই সামান্য দামে সব জমি নিয়ে নেয় বেসরকারি বিল্ডাররা। আবার তারপর নতুন একটি নির্দেশ জারি করে ডিরেক্টর অব ইন্ড্রাস্ট্রিজ। সেই নির্দেশের জোরে নিয়মনীতি ভেঙে ওই জমিকে অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ার বাইরে বের করে দেওয়া হয় যাতে সেগুলি আসল মালিকদের পরিবর্তে নিয়ে নিতে পারে বিল্ডাররা, তাদের কোম্পানি ও এজেন্টরা।

সিবিআইয়ের এফআইআরে বলা হয়েছে, সে সময় একর পিছু জমির বাজার দর ছিল ৪ কোটি টাকা। অর্থাত্ প্রায় ৪০০ একর জমির বাজারমূল্য ছিল ১৬০০ কোটি টাকা। কিন্তু বেসরকারি সংস্থাগুলি ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা সহজ, সরল চাষিদের কাছ থেকে মাত্র ১০০ কোটি টাকায় পুরো জমি কিনে নেয়। অর্থাত্ প্রকৃত জমির মালিকদের ১৫০০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।