নয়াদিল্লি: সিবিআইয়ের তলব লালুপ্রসাদ যাদবকে। ১১ সেপ্টেম্বর লালুকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে সিবিআইয়ের সদর দপ্তরে, পরদিন আসতে বলা হয়েছে লালুর ছেলে তেজস্বীকে।

রেলমন্ত্রী হিসাবে রেলের দুটি হোটেল বিএনআর রাঁচি ও বিএনআর পুরীর রক্ষণাবেক্ষণের ভার ঘুষের বিনিময়ে একটি বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে লালুর বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে লালু ও তেজস্বীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠাল সিবিআই।

কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার দাবি, রেলের ওই দুটি হোটেল দেখভালের বরাত সুজাতা হোটেলকে দেন লালু, বিনিময়ে ডিলাইট নামে একটি বেনামি সংস্থার মাধ্যমে তিন একর বহুমূল্যের জমি নেন। এভাবে মন্ত্রী হিসাবে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে সুজাতা হোটেলের মালিক বিনয় ও বিজয় কোছারকে বিশেষ খাতির করেন, তাঁদের বরাত পাইয়ে দেন। 'অসততা, জালিয়াতি' করে দেওয়া-নেওয়ার ভিত্তিতে রাঁচি, পুরীর বিএনআর হোটেল কোছারদের কোম্পানিকে লিজ দেওয়ার বরাত ম্যানেজ করেন লালু।

সিবিআই এ ব্যাপারে মামলা করে লালু, তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবী, ছেলে তেজস্বী ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রেমচাঁদ গুপ্তার স্ত্রী সরলা গুপ্তার বিরুদ্ধে।

এফআইআরে বাকি অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সুজাতা হোটেলের দুই ডিরেক্টর ও চানক্য হোটেল, ডিলাইট মার্কেটিং কোম্পানির মালিক বিনয়, বিজয় কোছার।