নয়াদিল্লি: রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ৭ বছরের পড়ুয়া প্রদ্যুম্ন ঠাকুরের গত সপ্তাহের হত্যার পর সিবিএসই নিয়োগ করা ২ সদস্যের কমিটি শোকজ করল স্কুল কর্তৃপক্ষকে। রায়ান কর্তৃপক্ষের তরফে কর্তব্য পালনে চরম গাফিলতির অভিযোগ করেছে তথ্যানুসন্ধানী কমিটি। শোকজ নোটিসে তারা বলেছে, ন্যূনতম নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতেও ব্যর্থ স্কুলের পরিচালকরা।

কমিটির বক্তব্য, স্কুল কর্তৃপক্ষ দায়িত্ববোধ, সাবধানতার সঙ্গে কর্তব্য পালন করলে হয়তো এই দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু এড়ানো যেত। বোর্ডের নির্দেশমতো ন্যূনতম নিরাপত্তার আয়োজনও করতে পারেনি তারা। সমগ্র ঘটনাক্রম থেকে স্কুল তার পড়ুয়াদের নিরাপত্তা দিতে পারেনি, চরম গাফিলতি দেখিয়েছে।

১৫ দিন সময় দিয়ে শোকজ নোটিসের জবাব পাঠাতে বলা হয়েছে রায়ান কর্তৃপক্ষকে। জানতে চাওয়া হয়েছে, কেন সিবিএসই-র উপধারা জেনেশুনে লঙ্ঘন করায় তাদের অনুমোদন প্রত্যাহার করা হবে না।

তদন্ত কমিটি রিপোর্টে জানিয়েছে, ওই স্কুলে বাসচালক, কন্ডাক্টর, খালাসিদের জন্য কোনও আলাদা শৌচাগার না থাকায় পড়ুয়া, শিক্ষাকর্মীদের শৌচাগারই তাঁরা ব্যবহার করতেন। পড়ুয়াদের নিরাপত্তায় গলদের উল্লেখ করে রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্কুলের পাঁচিলে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নেই, ফলে বাইরে থেকে পাঁচিল টপকে যে কেউ ভিতরে ঢুকে পড়তে পারে। তাছাড়া, স্কুল চত্বরে পর্যাপ্ত সিসিটিভি বসানো হয়নি, যেগুলি আছে, সেগুলির বেশিরভাগই কাজ করে না।

তথ্যানুসন্ধানী কমিটির দুই সদস্য ওয়াই অরুণ কুমার ও কৈলাস চাঁদ জানিয়েছেন, সেদিন পড়ুয়ার মৃত্যুর খবর পেয়েও স্কুলের কেউ এফআইআর দায়ের করেনি, জেলার শিক্ষা অফিসার, সিবিএসই-কেও ঘটনাটি জানায়নি। ঘটনার পর এফআইআর দায়ের করেন এক অভিভাবক।

গতকালই প্রদ্যুম্ন হত্যার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে স্কুলের পরিচালন ভার তিন মাসের জন্য হাতে নিয়েছে হরিয়ানা সরকার।